বর্ষার দ্বিচারিতার কারণে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত চিন্তিত। একদিকে যখন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে সেখানেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কম। স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণবঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি মানুষকে কার্যত নাজেহাল করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় আবহাওয়া সব থেকে ভাবিয়ে তুলেছে পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের। এমনিতেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কৃষি কাজের পরিমাণ খুব একটা বেশি নেই। যেহেতু এটি একটি খনি প্রধান অঞ্চল তাই সারা বছর সেই অর্থে জল পাওয়া যায় না। এই বর্ষাকালটুকু দিকেই তাকিয়ে থাকেন কৃষকরা। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি অনেকটা কম যা কৃষি কাজের জন্য একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। ফলে এই কম বৃষ্টি ভাবিয়ে তুলছে কৃষকদের। কৃষকরা চিন্তিত কিভাবে এ বছর তারা চাষ করবেন নিজেদের জমিতে।
আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনার কারণে মাঠে ফসল নষ্ট হবার আশঙ্কায় ভুগছেন অনেক কৃষক। অনেক জায়গায় কৃষকরা এখনো পর্যন্ত ধানের বীজ বপন করে উঠতে পারেননি। ফলে কখন তারা ধানচাষ শুরু করবেন সেই নিয়ে এখনো চিন্তায় রয়েছেন তারা। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে জল সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে খনি অঞ্চলে যেহেতু জলের অভাব রয়েছে সেই কারণে বর্ষা ঢোকার আগে যেরকম তীব্র গরম ছিল তাতে জলাশয় একেবারেই শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে সেই সমস্ত জলাশয় পূর্ণ হবে না। সেই কারণেই এই সমস্ত জলাশয় জলস্তর উঠবে না। ফলে সংকটের সম্মুখীন হতে হবে জেলার মানুষকে।
কিন্তু এই বর্ষার বৃষ্টি কেন হচ্ছে না? উত্তরবঙ্গে যখন বৃষ্টি চলছে, সেখানে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা কেন চাতক পাখির মত? আবহাওয়া দপ্তর বলছে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। যদিও উত্তরবঙ্গে প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। তবে আশার আলো দেখিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ১৬ জুলাই থেকে একটি ঘূর্ণাবর্ত্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।