Web series : ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের পরিণয়ের সম্পর্কের কাহিনী এই প্রথম না। নব্বইয়ের দশকে টিউশন টিচারের সঙ্গে ছাত্রীদের প্রেমের অনেক দৃষ্টান্তই রয়েছে। এমনকি শোনা যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের জীবনেও নাকি এরকমই একটা ঘটনা ঘটেছিল। তিনিও নাকি প্রথম জীবনে নিজের স্ত্রীর টিউশন টিচার ছিলেন। পরে তার প্রেমে পড়েন মদন। সম্পর্ক গড়ায় পরিণয়ে। টিউশন টিচার যদি পুরুষালি ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন, তাহলে মহিলারা তার প্রতি আকৃষ্ট হবেন সেটাই স্বাভাবিক। আর সেই নিয়েই এবারে প্রাইম প্লে অ্যাপ লঞ্চ করেছে একটি নতুন ওয়েব সিরিজ যার নাম, টিউশন টিচার। এই ওয়েব সিরিজে এরকমই একটি দম্পতির কাহিনী দেখানো হয়েছে।
শিক্ষিত মানুষকে বিয়ে করলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে ভেবে ওই শিক্ষককে বিয়ে করেছেন এক মহিলা। কিন্তু, বিয়ের পরেই তাকে সম্মুখীন হতে হয় কঠিন বাস্তবের। বাড়ির সমস্ত কাজ ওই মহিলা করলেও ওই শিক্ষক তাকে একেবারেই সাহায্য করেন না। বরং ওই শিক্ষক একেবারেই নিজের আলাদা জগতে থাকেন। শিক্ষকের এই পরিবর্তন দেখে বরং দুঃখই পান শিক্ষকের স্ত্রী। আশঙ্কায় তাদের বাড়িতে আসেন একজন মহিলা এবং তার সাথে দুই ছেলে মেয়ে। ওই মহিলা শিক্ষককে ওই দুই ছেলে-মেয়েকে পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং এমন একটা পারিশ্রমিকের মূল্য রাখেন যা দেখে সব শিক্ষকই চমকে যাবেন।
কিন্তু সেখানেই এক সমস্যা হয়। ছেলেটি একেবারেই পড়াশোনা করতে চায় না এবং সবসময়ই নিজের খেয়াল খুশি মতো চলতে চায়। ফলে বিরক্ত হয়ে গিয়ে ওই শিক্ষককে পড়ানোর ধরন পরিবর্তন করতে বলেন ওই মহিলা। শিক্ষক বোঝেন সহজে ওই ছেলেটিকে পড়ানো যাবে না। তাই শেষমেষ তাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। তিনি ওই ছেলেটিকে বলেন, যদি সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারে তাহলে সে শিক্ষকের স্ত্রীর যৌনতা পুরস্কার পেতে পারে। অন্যদিকে ওই মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হন শিক্ষক। এই প্রলোভন দেখানোর পরেই ছেলেটির রেজাল্ট রীতিমতো পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রাইম পে অ্যাপে এই মুহূর্তে এই ওয়েব সিরিজটি রয়েছে। চলতি বছরের ৮ মে এই সিরিজটি লঞ্চ হয়েছিল।