অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারীদের জন্য নিজস্ব বাড়ি, চাউল ও বস্তিতে বসবাসকারীদের জন্য নতুন বাড়ি দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছিলেন না রাজ্যের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এবারে আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই নির্দেশ পঞ্চায়েত দফতর দ্বারা জেলার বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকার এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য আরও তিনদিন বাড়তি সময় দিয়েছে। ফলে, ২০ ডিসেম্বরের বদলে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলা প্রশাসন টাকা বরাদ্দের প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হবে।
বাংলায় আবাস যোজনার তালিকা তৈরি প্রায় শেষ
এছাড়াও, আবাস যোজনার তালিকার অনুমোদন প্রক্রিয়া এবার তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, গ্রাম সভা, ব্লক লেভেল কমিটি এবং ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি—এই তিনটি স্তরে তালিকার অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এসব স্তরের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, টাকার বরাদ্দ শুরু হবে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আরও জানিয়ে রাখি আবাস যোজনার তালিকা তৈরির কাজ ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় তা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেছে বরাদ্দ প্রক্রিয়া। তবে, এই দেরি সত্ত্বেও তিনটি স্তরে তালিকার অনুমোদন প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে। তালিকায় আসা যে কোনও অভিযোগ বা আপত্তি ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে এবং তার মীমাংসা করা হবে।
এই তারিখে আবাস যোজনার টাকা অ্যাকাউন্টে আসবে
এদিকে, রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশনাকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, আবাস যোজনার টাকা প্রথম কিস্তি হিসেবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ফলে, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে উপভোক্তারা নতুন বছরের আগেই তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পেতে পারেন। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবাস যোজনার অর্থ বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ জনগণের মধ্যে আশার আলো নিয়ে এসেছে।