পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মহিলার মুখে আবার হাসি ফোটাল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চলবে আজীবন। মহিলাদের আর্থিক সহায়তা করে তাঁদের ক্ষমতায়নের পথে এক অনন্য পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প সাফল্যের ছাপ রেখেছে। এবার তা আরও একধাপ এগিয়ে গেল আজীবন কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্তে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ₹১,০০০ করে, আর তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা পাবেন ₹১,২০০। এই আর্থিক সহায়তা তাঁদের সংসারের পাশাপাশি আত্মনির্ভরতার পথেও এগোতে সাহায্য করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এটা শুধুমাত্র একটা অনুদান নয়, এটা আমাদের মহিলাদের সম্মান জানানোর এক প্রচেষ্টা। বিশ্বের মধ্যে এ ধরনের প্রকল্প প্রথম পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে, যা আমাদের গর্বের বিষয়।’’ তিনি আরও বলেন, “বিরোধীরা বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু বাস্তবে কিছুই করে না। আমরা যা বলি, সেটা করে দেখাই। কন্যাশ্রী, দুয়ারে রেশন বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার—সব প্রকল্পই তার প্রমাণ।”
এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই বহু পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়েছে। মহিলারা তাঁদের প্রয়োজন মতো এই টাকাটি ব্যবহার করছেন খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার জন্য। এখন আজীবন এই সাহায্য পাওয়ার ঘোষণায় তাঁদের মধ্যে স্বস্তির পাশাপাশি একধরনের নিরাপত্তার অনুভবও তৈরি হয়েছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ):
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারেন?
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা মহিলারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।
২. সাধারণ ও তফসিলি শ্রেণির মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ₹১,০০০ পান, আর তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা ₹১,২০০ পান।
৩. এই প্রকল্পে আজীবন সুবিধা মানে কী?
মহিলারা একবার যোগ দিলে তাঁদের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করলেও সহায়তা বন্ধ হবে না। তাঁরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন।
৪. এই প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করা যায়?
নিকটবর্তী Duare Sarkar ক্যাম্পে গিয়ে সরাসরি আবেদন করা যায় বা অনলাইনের মাধ্যমেও ফর্ম পূরণ করা সম্ভব।
৫. প্রকল্পের টাকার ব্যবহার কোথায় করা যাচ্ছে?
এই টাকা ব্যবহার করা যায় দৈনন্দিন খরচ, সন্তানের পড়াশোনা, ওষুধ-পত্র বা ছোট ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে।














