বাংলা গেরুয়া শিবির বরাবর রাজ্য প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি রাজ্য পুলিশ যেকোনো সময় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হেনস্থা করতে পারে। সেই জন্য কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর আছেই মামলার শুনানি বেরিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন কোনরকম কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অরবিন্দ মেনন সুপ্রিমকোর্টে জানিয়েছিলেন, বাংলার বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা লমাফিক ববিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ১১৪ টি মামলা দায়ের আছে। আর সেই কথা বিবেচনা করেই সুপ্রিমকোর্টে মামলাটির শুনানি হয়। আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেছেন, বর্তমানে বাংলা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া যেন ফৌজদারি মামলা হয়ে গেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি ভারতী ঘোষের নাম তুলে ধরেছেন। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অব্দি কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকার ও পুলিশকে নোটিশ দিয়ে দিয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হলফনামা পৌঁছে যাবে।
বিজেপি নেতাদের মতে যেভাবে তৃণমূল দলে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন ধরেছে তাতে ক্রমশ হিংস্র হয়ে উঠছেন। এমনিতেই বিজেপি শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য জেলায় জেলায় মামলা চলছে। এবার মমতা পুলিশবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে সেই নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকাতে কুন্ঠাবোধ করবে না। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবার অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে বাংলা গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শাসকদলের যে পছন্দ হবে না, তা বলা বাহুল্য।