পড়াশোনা করলেই পড়ুয়াদের মাসে মাসে টাকা দেবে রাজ্য সরকার। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এবার থেকে রাজ্য সরকারের স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের সুবিধা আরও বেশি পড়ুয়া পাবে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতিমাসে মেধাবী পড়ুয়াদের টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই স্কলারশিপ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের সকলেই পাবেন। এর জন্য আবেদন করতে গেলে ঐ সমস্ত পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। ইতিমধ্যেই এই পোর্টাল খুলে গিয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর অব্দি পুনর্নবীকরনের জন্য আবেদন জমা নেওয়া হবে।
২০১৬ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কলারশিপ দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পটির নাম, “স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ।” দশম, দ্বাদশ, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ও অন্যদিকে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পেশাগত কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা সর্বশেষ পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট www.svmcm.wbmdfc.co.in এ যেতে হবে। সেখানে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং তারপর কোন কোর্সের জন্য স্কলারশিপ চায়, তা উল্লেখ করতে হবে। অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় জন্মের শংসাপত্র, মার্কশিট, শেষ পরীক্ষার এডমিট কার্ড, আধার কার্ড, পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র ইত্যাদি জমা করতে হবে। এছাড়াও ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর নতুন কোর্সের ভর্তির রশিদ দিতে হবে। রাজ্য সরকার সরাসরি পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের টাকা পৌঁছে দেবে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ুয়ারা মাসে ১ হাজার টাকা পাবে। স্নাতকস্তরে বিষয় অনুযায়ী পড়ুয়ারা মাসে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা অব্দি পেতে পারে। অন্যদিকে স্নাতকোত্তর স্তরে বিষয় অনুযায়ী পড়ুয়ারা মাসে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা অব্দি পাবেন।
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী:
১) অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
২) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই এই রাজ্যের হতে হবে।
৩) পরিবারের বাৎসরিক আয় প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিকের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও মেরিট কাম মিনসের জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা।
৪) আধার কার্ড থাকতে হবে।
৫) যেকোনো একটি স্কলারশিপ পাওয়া যাবে।
৬) রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।