শ্রমশ্রী প্রকল্পে কী কী সুবিধা পাবেন? মোবাইল থেকে কিভাবে আবেদন করবেন, জানুন – Shramashree Scheme

উৎসবের আগে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। এবার ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় উন্নতির জন্য চালু করা হল শ্রমশ্রী প্রকল্প। আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধা, এমনকি ছোট ব্যবসা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প থেকে মিলবে সাহায্য। সরকারের আশা, প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
প্রকল্পের সুবিধা
এই প্রকল্পে প্রত্যেক শ্রমিককে এককালীন ৫,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ। শ্রমিকদের সন্তানের স্কুলভর্তি, স্কলারশিপ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও থাকবে বিশেষ সুবিধা। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
কারা পাবেন এই সুবিধা?
শ্রমশ্রী প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র তাঁদের জন্য, যাঁরা বাইরে থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন। তবে শর্ত হল, শ্রমিক অথবা তাঁদের বাবা-মায়ের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইস্যু হতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র বাংলার নিবন্ধিত শ্রমিকরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন।
আবেদন পদ্ধতি
এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে অনলাইন ও অফলাইন দুই ভাবেই। বাড়িতে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। এর জন্য শ্রমশ্রী অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
প্রথম ধাপে অ্যাপ ইনস্টল করার পর দেখা যাবে লগইন ও রেজিস্টার অপশন।
দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারীর নাম কর্মসাথী পোর্টালে নথিভুক্ত থাকতে হবে।
ইউজার আইডি বা মোবাইল নম্বর দিয়ে “Generate OTP” ক্লিক করলে ফোনে আসবে একটি OTP।
তৃতীয় ধাপে সেই OTP দিয়ে ভ্যালিডেশন করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন করার সময় সতর্কতা
অ্যাপটি নতুন হওয়ায় অনেক সময় OTP আসতে দেরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, একাধিকবার জেনারেট করার বদলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করাই ভালো। এছাড়াও আবেদনকারীর নাম কর্মসাথী পোর্টালে আগে থেকে নথিভুক্ত না থাকলে শ্রমশ্রী অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্ভব হবে না।
সরকারের লক্ষ্য
রাজ্য সরকারের দাবি, শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, দক্ষতা উন্নয়ন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার সুযোগও খুলে দেবে এই প্রকল্প। এতে একদিকে শ্রমিকরা স্বনির্ভর হবেন, অন্যদিকে রাজ্যের অর্থনীতিতেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।