Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

উত্তরে হাওয়ায় হিমের পরশ, তাপমাত্রা কমলো কলকাতায়, কবে আসবে বাংলায় শীত? – WEST BENGAL WEATHER

Updated :  Sunday, October 29, 2023 3:01 PM

পুজো লক্ষ্মীপূজো সবই মোটামুটি শেষ। এবারে ধীরে ধীরে আবহাওয়া ঠান্ডার দিকে এগোতে শুরু করেছে। শীতকাল আসতে চলেছে বাংলায়। এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে শীত নিয়ে কোন পূর্বাভাস না দেওয়া হলেও আগামী কয়েক দিনে কলকাতা এবং আশেপাশের কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বাতাসে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকতে পারে বেশ কিছু জায়গায়। তবে আপাতত কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে চলেছে ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। অন্যদিকে শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অর্থাৎ বলতে গেলে শনিবারের থেকে তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে রবিবারে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শনিবার যদিও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে ঠান্ডার আমেজ থাকলেও এখনই সেটা স্থায়ী হচ্ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী দু দিনের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র তাপমাত্রা আবারও কমে যেতে পারে। মোটামুটি ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রত্যেক জেলায় কমবে। তবে কিছুদিন পর আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। তাই শীত কবে পড়বে তা এখনো পর্যন্ত সঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে আবার বঙ্গোপসাগরে একটা নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। তা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয় এবং গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বাংলাদেশ প্রবেশ করে শক্তি ক্ষয় করে। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিয়েছে। সেই কারণে বাংলার আবহাওয়া মোটামুটি শুকনো।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে শনিবারের গড় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রীর ঘরে ছিল। উত্তরবঙ্গের মধ্যে বালুরঘাটে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। দার্জিলিঙে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। এই মুহূর্তে দার্জিলিং শহরে তাপমাত্রা রয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখনই এই পরিস্থিতিকে শীত বলতে নারাজ আবহবিদরা।