শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গায়ে একটা চাওয়ালার তকমা ফেলেই দেখে এসেছেন অনেকেই। বিরোধী পক্ষ কিংবা অন্য পক্ষ প্রত্যেকেই তাকে এই বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেই থাকে। আর ছত্তীসগঢ়ের অম্বীকাপুরে এক জনসভায় বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “এখনও তারা কাঁদছে এই ভেবে যে একজন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?” আর এই মোক্ষম জবাব শোনার পরেই হয়তো অনেকেরই থতা মুখ ভোতা হয়ে গিয়েছে।
এরকম অনেকবার তাকে বিরোধীরা বিদ্রুপ করে বলেছেন তিনি নাকি চা-বিক্রির কাহিনি শুনিয়ে দেশবাসীর সিমপ্যাথি আদায় করতে চান! আর এটা ওনার বিশেস পদ্ধতি। এমনকি এটি তাঁর ভোটের কৌশল! কিন্তু কেন তার গায়ে এইটা চাওয়ালার তকমা লাগলো তার সূত্র কোথায়?সেই সব তথ্য আদায় করতে আবেদন দায়ের করেন হরিয়ানার এক আইনজীবী পবন পারেখ। নথির প্রতিলিপিও দাবি করেছিলেন পবন পারেখ।
হরিয়ানা আদালতের আইনজীবীর প্রশ্ন অনুযায়ী বডনগর স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর পিতা শ্রী দামোদর মোদীর চায়ের দোকানটি কোন সময়ে ছিল? তার জন্য কি কোনও অনুমতি পত্র দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফ থেকে?
পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন থেকে দেওয়া হয়নি কোনো উত্তর। কিন্তু এরপরেও তিনিই থেমে থাকেন নি। সটান ফোন করে বসেন । সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে। তারপরেও ব্যর্থ হওয়ার পর তিনিই নিজেই বারবার আবেদন করতেন। আর এরপরেও দীর্ঘ অপেক্ষায় অবসান ঘটে। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন জানিয়ে দেয়, এই আবেদনের বিষয়ে কোনও রেকর্ড তাদের কাছে নেই। আর পাশাপাশি এও জানায় তারা এর উত্তর দিতে পারবেন না কারণ তাঁদের কাছে কোনো সঠিক উত্তর নেই