আমরা ছোটবেলাতেই পড়েছি পৃথিবীর এক ভাগ স্থল আর তিন ভাগ জল। তবে পৃথিবীতে এই এত জলের রহস্যটা কি! জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এক অংশের দাবি এই এত জল কোনো উল্কাই পৃথিবীতে এনেছিল তবে এর মধ্যে কতটা সত্য আছে তা যাচাই করা খুব একটা সহজ নয়। কারন এর আগে পৃথিবীতে আসা কোনো উল্কাতেই জলের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি একটি উল্কাতে জলের প্রমাণ পাওয়ায় খুবই আশ্চর্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সাম্প্রতিককালে সিডনির মাকুয়েরি ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনেকদিনের গবেষণার পর সব তথ্য প্রমান মিলিয়ে দেখার পর নিশ্চিত ভাবেই বলেন যে প্রায় ৪৪০ কোটি বছর আগে অনেক গুলো উল্কাই পৃথিবীতে এতো জলের সঞ্চার ঘটিয়েছিল। পৃথিবীর সৃষ্টি কালে পৃথিবী অতিরিক্ত উত্তপ্ত ছিল আর আর সেই সময় জলে ভরা উল্কাপিণ্ড গুলো পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। তারপর জলীয় বাষ্প হয়ে বিশাল মেঘের সৃষ্টি করায় তা বৃষ্টি আকারে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে এত জলের যোগান দেয়।
বিজ্ঞানীদের মতে কিছু বিশেষ খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থের মিশ্রণের কারণেই উল্কা গুলি থেকে এত জল এসেছিল। এই উল্কাগুলিতে ছিল “ভারী জল” যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো হাইড্রোজেনের আইসোটোপ “ডয়টোরিয়াম”। আর পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর ওই উল্কাপিন্ড গুলিতে অবস্থিত ডয়টোরিয়াম এর অনুপাত সমান।
মার্কিন ভূতাত্তিকদের মতে একটি বিশেষ শিলা যার নাম রিংউডাইট, তার ভাঁজের প্রচন্ড চাপে হাইড্রক্সিল ও হাইড্রক্সাইড রূপে আটকে রয়েছে এই বিশাল পরিমাণ জল। আর এগুলো প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগেই তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।