মাকে ফিরে পেতে রানুর মেয়ে যা করলো, সেই মিম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল! পড়ুন সেই কাহানি!
“চেনা মুখও অচেনা হবে
যখন তুমি নিঃস্ব
অচেনাও অথিতি হবে
যদি তোমার কাছে থাকে সর্বস্ব ।”
অনেকেই বলে থাকে টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না কিন্তু বর্তমান যুগের পরিস্থিতি চিত্র পুরোটাই বিপরীত। বুদ্ধি বিচক্ষণতা প্রতিভা যাই থাকুক নিজের পায়ের মাটি শক্ত না হলে পুরোটাই বৃথা। বাইরের পৃথিবীর কথা নাহয় ছাড়াই গেল কিন্তু আপনজনও যে কতটা স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারে তা কল্পনাতীত। ঠিক কতটা স্বার্থপর হলে একজন মেয়ে নিজের জন্মদাত্রী মা কে ভুলে থাকতে পারে? আবার ঠিক কতটা স্বার্থপর হলে মায়ের প্রতিভা উন্মোচিত হওয়ার পর সর্বসমক্ষে আসার পর যশ খ্যাতি অর্জন করার পর সেই মায়ের কাছে নির্দ্বিধায় ভালোবাসার দাবী নিয়ে আসা যায়? যেই মাতৃত্ব একদিন লাঞ্ছিত হয়েছিল ..পরিবার থাকতেও পরিবারবিহীন হয়ে মায়ের ঘর হয়েছিল রেলস্টেশনের চত্বর।রেলস্টেশন থেকে এক নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন জগতে পা রাখার যাত্রাপথে ছিলনা তার নিজের মেয়েও।
একে পেয়ার কা নাগমা হে আর এই গান গেয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিল রানু মন্ডল। লতাকন্ঠী হিসেবে প্রায় রাতারাতি বিখ্যাত হন তিনি। পরিবার-পরিজন পরিত্যক্ত রানাঘাট স্টেশন পড়ে থাকা রানু মন্ডল কে তার ঠিক পরেই ডেকে নেন হিমেশ রেশমিয়া। সম্প্রতি হিমেশের পরিচালনায় রানুর গলায় রেকর্ড করা তেরি মেরি কাহানি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে এই স্টেশন থেকে হিমেশ রেশমিয়া পর্যন্ত যাত্রাপথে সঙ্গী হয়েছে অতীন্দ্র চক্রবর্তী। আর এই অতীন্দ্র চক্রবর্তী যিনি তার পরিবারের কেউই নন ভগবানের মতো আবির্ভাব হয়ে শিল্পীকে তার নিজের দরবারে পৌছে দিয়েছেন আর তারপরই ঘটেছে সেই ঘটনা যেই মাকে পরিচয় দিতে এত দিন লজ্জা পেত নিজের মেয়ে সকলের কাছে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ভিখিরি বলে পরিচিত ছিল সেই মা.. ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পরই মায়ের কাছে ফিরে গেছে কৃতিত্বের অংশীদারী নিতে। যে মায়ের পরিচয় ছিল লজ্জার আজ সেই মা গর্বের কারন সে যে আজ গায়িকা!! গায়িকার মেয়ে বলে কথা!
Written by – দেবস্মিতা ধর