৪ হাজার কৃষকের সাথে “সহভোজ” করবেন নাড্ডা, জানুন কি আছে মেনুতে
সকাল থেকেই গামলায় গামলায় গরম খিচুড়ি তৈরি হচ্ছে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য
আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল অন্য দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। গেরুয়া শিবির বারংবার তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বাংলা সফরে পাঠাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বাংলা সফরে এসে বিজেপির ভোট প্রস্তুতির সম্বন্ধে খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। আজ আবারো বাংলায় আসছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এর আগেও তিনি বাংলায় এসে ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন।
আজকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জনসংযোগ সারতে মালদহ ও নবদ্বীপে আসছেন। তিনি এবার এসে নবদ্বীপ থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন। তবে বারংবার নাড্ডার বাংলা সফরে দেখা গিয়েছে কৃষক প্রেম। তিনি আগেরবার বাংলায় এসে কৃষকদের হাত থেকে চাল ডাল নিয়ে নয়া প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এছাড়াও তিনি আগের বারও এক কৃষক বাড়িতে। অবশ্য এবার এসেও একই ধরনের কর্মসূচি রয়েছে নাড্ডার। অবশ্য এবার আর কোন কৃষক বাড়িতে তার মধ্যাহ্নভোজন নেই। তার মধ্যাহ্নভোজনের নাম দেওয়া হয়েছে সহভোজ। তবে কি আছে এই সহভোজের মেনুতে?
অন্যান্যবার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা কোন আদিবাসী বা কৃষক বাড়িতে গেলে বেশ অনেক ধরনের পদ হতে দেখা যায়। তবে এবারের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। গত একমাস ধরে এক মুঠো অন্ন কর্মসূচিতে গোটা বাংলা থেকে যে সবজি এবং চাল-ডাল সংগ্রহ হয়েছে তা বিয়ে হবে সহভোজের রান্না। আজ প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মেনু খুবই সাধারণ। আছে খিচুড়ি, পাঁচমিশালী তরকারি এবং পাঁচ রকমের ভাজা।
সহভোজ রান্না করার জন্য গতকাল রাত থেকেই ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী কাজে লেগে পরেছে। সকাল থেকেই গামলা গামলা ভরে তৈরি হচ্ছে খিচুড়ি। আজ কৃষকদের সাথে খোলা মাঠে সহভোজ করবেন জেপি নড্ডা। আজ সেই সাথে তিনি কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর যা রটনা চলছে তার সম্বন্ধে বক্তৃতা দেবেন। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলা গেরুয়া শিবির কোনভাবেই রাজ্যের কৃষকদের রাগিয়ে দিতে চায় না। তারা যেকোন ভাবে কৃষকদের মন জয় করার জন্য চেষ্টা করে চলেছে।