ঘটনাটি আজকের নয়। ২০০৬ সালের ঘটনা এটি। ‘চিঙ্গারী’ ছবির শুটিং চলাকালীন ঘটেছিল ঘটনাটি। কল্পনা লাজমি দ্বারা পরিচালিত ‘চিঙ্গারী’তে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন, মিঠুন চক্রবর্তী ও অনুজ স্বামী। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী নেতিবাচক চরিত্রে দেখা দিয়েছিলেন। ছবির শুটিং শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ঝামেলা দেখা দিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী ও সুস্মিতা সেনের মাঝে। পরিচালকের অনেক বোঝানোর পর শুরু হয়েছিল শুটিং। তবে এই ছবির শুটিং চলাকালীনই অভিনেত্রী মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত স্পর্শের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের সাতারাতে চলছিল ছবির শুটিং। সেই শুটিং চলাকালীনই ঘটেছিল এই ঘটনা। শুটিং শুরুর প্রথম দিন থেকেই এই দুই তারকার মাঝে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার কথা ছিল তার। তবে সেই দৃশ্য শুট করার সময়ই সমস্যার দেখা দেয়। সেই অন্তরঙ্গ দৃশ্য শ্যুট করার সময়ই বহুবার রিটেক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর সেই দৃশ্যের শুটিং শেষ করে অভিনেত্রী সোজা নিজের মেকাপ ভ্যান চলে গিয়েছিলেন।
সেইসময় অভিনেত্রী হঠাৎ কেন শুটিং শেষ করেই নিজের মেকাপ ভ্যান চলে গিয়েছিলেন! তা পরিচালকের পাশাপাশি বুঝতে পারেননি অনেকেই। পরে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শ্যুটিং চলাকালীন মিঠুন চক্রবর্তী খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছিলেন তাকে। অভিনেত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি এই ঘটনা রীতিমতো ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছিলেন। এরপরে পরিচালক অভিনেত্রীকে অনেক বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন যে এই ধরনের দৃশ্য শুটিংয়ের সময় এমন প্রায়ই ঘটে থাকে, এটা স্বাভাবিক। তবে সেইসময় অভিনেত্রী সেকথা মানতে রাজি ছিলেন না। এই ঘটনার পর মিঠুন চক্রবর্তী এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু পরিচালকের অনুরোধেই তিনি সেই সিদ্ধান্ত নেননি।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, তা নিয়ে মিডিয়াতে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন চর্চা চলেছিল মিডিয়াতে। এমনকি সেইসময় বেশকিছুটা বদনামও হয়েছিল অভিনেতার। অবশ্য পরবর্তীকালে শুটিং শেষ হওয়ার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শুটিং চলাকালীন তিনি ভুল বুঝেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি এও জানিয়েছিলেন, তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন অভিনেতাকে।