কৌতুক জগতের বাদশা নামটা শুনলেই সকলের মনে বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা কপিল শর্মার নামটা ভেসে ওঠে। সোনি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত “দ্য কপিল শর্মা শো” ব্যাপক জনপ্রিয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই শোয়ের টিআরপি শীর্ষে রয়েছে। এই শোতে বিভিন্ন সিনেমা ও রিয়েলিটি শোয়ের প্রমোশন করতে পৌঁছে যান বিভিন্ন তারকা অভিনেত্রীরা। শো এর ফরম্যাট অনুযায়ী, স্টেজে বসে তারকাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন কপিল শর্মা এবং দর্শকরা সামনে বসেই তা উপভোগ করতে পারেন। এমনকি মাঝে মাঝে দর্শকরাও তাদের প্রিয় তারকার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন। কিন্তু একদিনের এপিসোডে এক দর্শক এমনই আবদার জানিয়েছিল যা শুনে রেগে বোম হয়ে গিয়েছিল কপিল শর্মা। ঠিক কি হয়েছিল?
বেশ কিছুদিন আগে একটি সিনেমার প্রমোশনের জন্য কপিল শর্মা শোতে পৌঁছে গিয়েছিলেন আদিত্য রায় কাপুর ও শ্রদ্ধা কাপুর। কপিল শর্মার সাথে কথাবার্তার মাঝেই উপস্থিত জনতার মধ্যে একজন মাইক নিয়ে শ্রদ্ধা কাপুরকে এমন এক অনুরোধ জানায় যা শুনে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। বর্তমানে সেই ভিডিও নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক ভাইরাল হতে শুরু করেছে। অনেকেই জানিয়েছেন যে ওই দর্শকের এমন মন্তব্য করা মোটেও উচিত হয়নি। এমনকি দর্শকের মন্তব্য শুনে ব্যাপক রেগে যান কপিল শর্মা। আসলে কৌতুক অভিনেতা হিসাবে সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকলেও কপিল শর্মার রাগ দেখে অবাক হয়ে যায় অনেকেই।
তবে আপনি হয়তো মনে করছেন, কি এমন আবদার করেছিল ওই দর্শক? ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কপিল শর্মার শোতে উপস্থিত ঐ ব্যক্তি প্রথমে শ্রদ্ধা কাপুরের সাথে একটু একটু কথা বলেন এবং তারপরেই আবদার করে বসেন যে তিনি প্রিয় অভিনেত্রীর সাথে ‘আশিকি টু’ সিনেমার ‘তুম হি হো’ গানের কিসিং সিন করতে চান। এছাড়াও তিনি জানান যে জ্যাকেটের ভিতরে চুম্বনদৃশ্যটি তারা এতটাই পছন্দ যে সে দীর্ঘ তিন বছর ধরে ওই জ্যাকেট কিনে রেখেছেন। এই কথা শুনে একদিকে যেমন শ্রদ্ধা কাপুর অবাক হয়ে যান, ঠিক অন্যদিকে বিশাল রেগে যান কপিল শর্মা। ওই ব্যক্তির জন্য পুলিশে খবর দেওয়ার জন্যও বলেন তিনি। এই কথা শুনে অবশ্য ওই দর্শক চুপচাপ হয়ে যান।
পরে অবশ্যও ওই দর্শকের আবদারও মেটানো হয়। সেই সাথে কপিল শর্মা জানান যে এই প্রথম তিনি রেগে যাওয়াতে কেউ ভয় পেয়েছে। শ্রদ্ধার ওই রোমান্টিক সিন রিক্রিয়েট বেশ উপভোগ্য ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শ্রদ্ধা কাপুরের ‘আশিকি টু’ সিনেমা রিলিজ করেছিল। তখন ওই সিনেমার তুম হি হো গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অবশ্য তখন শব্দটি ব্যবহার করা হয়তো তো ভুল হবে। এখনও অব্দি ওই গানের রোমান্টিক দৃশ্য এবং সাথে সাথে মিষ্টি সুর ও লিরিক্স প্রত্যেকের বেশ প্রিয়।