গত বছর থেকেই চালু হয়েছে ভারতে করোনা ভাইরাসের লকডাউন। ২০২০ থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। সবকিছুই চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু জায়গায় জায়গায় অভিযোগ উঠছে, শিশুদের পড়াশোনার মান নিচের দিকে যাচ্ছে ক্রমাগত। এই পরিস্থিতিতে বারবার কেন্দ্রের উপরে চাপ আসছে, করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে স্কুল কলেজ খোলা যায় সেই নিয়ে।
বহু সংস্থার তরফে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে করোনা আবহে কবে স্কুল খুলবে? এই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রের নীতি আয়োগের সদস্য ডাক্তার ভিকে পালকে। ইতিমধ্যেই তিনি আমাদের বেশকিছু প্রসঙ্গের কথা জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, এত সহজে এখনই স্কুল কলেজ খোলা সম্ভব নয়। কারন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। দিল্লি এআইআইএমএস এর ডাইরেক্টর রন্দীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে আছড়ে পড়বে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ। সে ক্ষেত্রে কি আদৌ স্কুল খোলা সম্ভব, যেখানে বিশেষজ্ঞদের ধারণা তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবেন শিশুরাই?
নীতি আয়োগ এর সদস্য জানিয়েছেন, স্কুল খোলা যদি হয় তাহলে তার আগে অনেক ধরনের বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এর আগেও বহু জায়গায় স্কুল খোলা হয়েছে কিন্তু, সেখানে নতুন করে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। আমাদের যদি স্কুল খুলতে হয় তাহলে সকলকে প্রতিষেধক দিতে হবে আগে। তারপরে সামাজিক দূরত্ব দৈনিক অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। যদি সেরকম না হয় তাহলে কিন্তু শিশুরা এবং শিক্ষকরা করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
২০২০ এর লকডাউন এর সময় থেকেই রাজ্যে একাধিক স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে সিবিএসই এবং রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। সাথে সাথেই বাতিল হয় একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ এখনো চলছে, তাই, এখনো শিশুদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হচ্ছে। যদিও গতবছরের শেষের দিকে কয়েকটি রাজ্যের স্কুল খোলার তোরজোর করা হয়েছিল, কিন্তু করোনা ভাইরাসের ঢেউয়ের কারনে সেই পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। আজ নীতি আয়োগ এর সদস্য ভিকে পাল যেরকম বললেন, তাতেও মনে হচ্ছে না খুব তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ খুলবে বলে।