রাজ্যে কবে থেকে লোকাল ট্রেন চলবে? সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। সোমবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ যাদব জানিয়েছিলেন, রাজ্য চাইলে পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে লোকাল ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হবে। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। রাজ্যের আধিকারিক মহলের অনুমান যে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও হতে পারে।
লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালু না হলে সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারীরা অফিসে যেতে পারবেন না। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। যদিও হাওড়া ডিভিশনকে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি চিঠি লিখে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হাওড়ার সংশ্লিষ্ট রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল আধিকারিকদের কাছে সুরক্ষা বিধি ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ২৩ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই চিঠি আবার জল্পনা বাড়াচ্ছে। তাহলে কি হাওড়াতে ট্রেন চালু হবে?
ওদিকে লোকাল ট্রেন চালু করলে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়বে। থার্মাল স্ক্রিনিং করে প্রবেশ করানো কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু অফিসের সময় যাত্রীরা এতসময় হাতে নিয়ে কি বেরোবেন? এর পাশাপাশি গ্রামের দিকে স্টেশনগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট গেট নেই। তাই সেখানে থার্মাল স্ক্রিনিং করা কার্যত অসম্ভব। প্রত্যেক স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা কি রেলের পক্ষে সম্ভব? যদিও রেলের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি।