ষোলআনার সাতকাহন! “ষোলআনা” কাউকে কখনও কেন দিতে নেই? জেনেনিন

ষোলআনার সাতকাহন! আমরা যারা সকল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করি, শুধুমাত্র সুখের এক টুকরো মুখ দেখবার জন্য, জানি যে অর্থ আমাদের এই পার্থিব জীবনে কি অসীম মাত্রায় এক সক্রিয়…

Avatar

ষোলআনার সাতকাহন! আমরা যারা সকল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করি, শুধুমাত্র সুখের এক টুকরো মুখ দেখবার জন্য, জানি যে অর্থ আমাদের এই পার্থিব জীবনে কি অসীম মাত্রায় এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। সকাল সন্ধ্যে কেবল মা লক্ষ্মীর অর্চনা। চাল, ডাল, নুন, তেল এবং বাকি যাবতীয় সামগ্রী আমরা পাই শুধুমাত্র টাকার বিমিময়। একদিন একটু ভালোমন্দ খাওয়ার জন্য চাই অর্থ। ওলা বা উবের এ চরবার জন্য চাই বেশ কিছু টাকা। তাই ব্যাংক ব্যালান্স হোক বা চেক বা ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড বা নগদ, অর্থ ছাড়া আপনজনেরাও পর হয়ে যায়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের এক অমর বাণী:” অর্থহীন মানুষ কখনও কারো প্রিয় হতে পারে না”। এক নির্ভেজাল সত্য।

ষোলআনার সাতকাহন! "ষোলআনা" কাউকে কখনও কেন দিতে নেই? জেনেনিনতবে প্রসঙ্গ যখন মা লক্ষ্মী, তখন ষোলআনার ধারণাটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই আসবে আলোচনায়। “ষোলআনা” বলতে আমরা বুঝি এক টাকা। শুনতে খুব কম লাগলেও, এর এক অতি বিশেষ তাৎপর্য আছে। কথায় আছে কাউকে “ষোলআনা দিও না”- তা সেটা যাই বোঝাক না কেন! এর অর্থ কাউকে কখনও পুরোটা দিও না, তাতে নিজে কখনও লাভবান হওয়া যায় না। যে কোন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে, তা ফর্মাল হোক বা ইনফর্মাল, শুধুমাত্র এক টাকার কয়েন বা নোট দেওয়া উচিত নয়। এতে অর্থাগম এ ভাঁটা পড়তে পারে। কোন কারণ ছাড়াই অর্থ ব্যয় হতে পারে। তাই চাই একটু বিশ্বাস, একটু সচেতনতা। অন্যদিকে আমরা প্রায়সয়ী দেখি যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে আমরা যখন ক্যাশ দি, তখন যেই খামটি ব্যবহার করি, তার ওপর এক টাকার একটা কয়েন থাকে আঠা দিয়ে আটকানো- এর অর্থ আমরা টাকার যে অঙ্কই দি না কেন, এক টাকা তার সাথে থাকবে। ইভেন না অড সংখ্যা হতে হবে, তবেই মিলবে শুভ ফল, এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ: ১০১ টাকা, ২০১ টাকা ইত্যাদি।

পুরাণ মতে মা লক্ষ্মী বৈভবের দেবী রূপে পূজি -তা। আবার একথাও সত্য মা অতীব চঞ্চলা। তাঁকে গৃহে বেঁধে রাখা এক কঠিন কাজ, নিঃসন্দেহে। তবে আমরা যদি একটু আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাব থেকে বেরিয়ে এসে, একটু অন্যভাবে ব্যাপারটাকে দেখি, বা বিশ্লেষণ করি, তাহলে বোধহয় পথ সুগম হয়ে উঠবে। আজ কোজাগরি লক্ষ্মী পূজা। এই শুভ লগ্নে, মা তাঁর সন্তানদের ভান্ডার ভরিয়ে তুলুক, এই মাত্র চাওয়া।
“শুভ লক্ষ্মী পুজো”
                                  Written by – কুণাল রায়