করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতি গোটা রাজ্যে মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সামনের বছরের জুন মাসে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে পাঠক্রম চালায় অনেকেই পড়াশোনা করে উঠতে পারিনি। অনেকের কাছে অনলাইন ক্লাস করার মত স্মার্টফোন না থাকায় বিপাকে পড়েছে তারা। অবশ্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন যে প্রত্যেক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তিনি জানান সময় খুব একটা বেশি না থাকায় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ ১০০০০ টাকা করে দিয়ে দেওয়া হবে।
এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের টাকা পৌঁছানোর কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজ্যের ৯ লাখ পড়ুয়ার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে।” আজ নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জানিয়েছেন, “আজ থেকেই রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের টাকা পাঠাতে শুরু করেছে। লিস্ট ভিত্তিক পড়ুয়াদের একাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দের স্মার্টফোন বা ট্যাব কিনে অনলাইন পঠন-পাঠন ভালোভাবে করতে পারবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভবিষ্যতের জন্য পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”
এছাড়া বাজ মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন পরিবার সাথে কথা বলেছেন। পড়ুয়ারা প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী তাদের মধ্যে এক পড়ুয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন, “এটাকে একটু যত্ন করে রাখবে। কেউ যাতে না চুরি করে নিতে পারে ঠিক আছে? স্মার্টফোন কিন্তু ভালো হয়। কিন্তু তুমি স্মার্টফোনের থেকেও স্মার্ট থেকো। আর দেখো কেউ যেন চুরি করে না নিতে পারে।”