রাজ্য তথা দেশের মহিলাদের আর্থিক ভাবে বলীয়ান করে তোলার জন্য একাধিক প্রকল্প (Government Scheme) রয়েছে। এখনও বু মহিলাই আর্থিক দিক থেকে সক্ষম নন। এর জন্য বাবা বা স্বামীর উপরে নির্ভর করতে হয় তাদের। বিশেষ করে অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহিলারা শিক্ষার দিক দিয়েও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। তাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে সরকারের তরফে।
পশ্চিমবঙ্গের কথা বললে, রাজ্য সরকারের তরফে একগুচ্ছ প্রকল্প চালু রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্যে যেগুলির সুবিধা উপভোগ করছেন বহু মানুষ। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধুর মতো ৫০ টি প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্যে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে লাভবান হয়ে থাকেন উপভোক্তারা। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে অসংরক্ষিত শ্রেণি অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটেগরির মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। আর সংরক্ষিত শ্রেণির মহিলারা মাসে পান ১২০০ টাকা।
এর মাঝেই লোকসভা ভোটের আবহে কংগ্রেসের তরফে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। মহিলাদের জন্য একটি দুর্দান্ত স্কিম ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি এক জনসভা থেকে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, কংগ্রেস যদি দেশে ক্ষমতায় আসে তাহলে মহিলাদের আর্থিক সহায়তার জন্য আনা হবে নয়া প্রকল্প।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মহিলাদের বছরে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রতি মাসে ৮৫০০ টাকা করে দেশের প্রতি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের নাম হবে মহালক্ষ্মী যোজনা। আরও বলা হয়েছে, কংগ্রেস যদি জুন মাসে ক্ষমতায় আসে, তাহলে জুলাই মাস থেকেই দেশের প্রত্যেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। প্রত্যেক রাজ্যের মহিলারাই নাকি পাবেন এই টাকা। সেক্ষেত্রে দেশের মহিলারা যে আর্থিক ভাবে বড় সুবিধা পাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।