সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং রাষ্ট্রীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক, আন্দোলন হয়েছে, অনেকে এর সপক্ষে, অনেকে বিপক্ষে। ২০১০-এ প্রথম দেশজুড়ে এনপিআর হয়। এনপিআর হল দেশের নাগরিকদের ডেটাবেস। কোনও ঠিকানায় ৬ মাস ধরে বসবাসকারীদের নাম উঠবে এই রেজিস্টারে। তবে বিজেপি সরকার আগেই বলেছে এনপিআরের মাধ্যেমে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ব্যাপার নেই। তবি বিরোধীরা মনে করছে এ-র সাথেও সিএএ এ-র যোগ থাকতে পারে।এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিতর্কের জেরে এবার এনপিআর নিয়েও শুরু হয়েছে অশান্তি, বেশ কয়েকটি রাজ্য জানিয়েছে, তারা এই প্রক্রিয়া চালু করবে না।
তবে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে ১ মে থেকে শুরু হয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে জনগণনা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাঝেই মহারাষ্ট্র সরকার এনপিআর ও জনগণনার কাজ শুরু করার ঘোষণা করল। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের এনপিআর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এনসিপি-কংগ্রেস তা মানবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারণ মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে শিবসেনা সরকার। এনসিপি-কংগ্রেস উভয়েই এ রাজ্যে এনআরসি করতে দেবে না বলেই জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপির অবস্থা খতিয়ে দেখতে পয়লা মার্চ রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে সরকার গড়তে দরকার ১৪৫ টি আসন। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৬, এনসিপির ৫৪, কংগ্রেসের ৪৪। সব মিলিয়ে ১৬৯। এনসিপি ও কংগ্রেসের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা শিবসেনা সরকার এনপিআরের বিরুদ্ধে থাকায় এই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে।