শ্রেয়া চ্যাটার্জি- বৃহস্পতিবার ঘুমের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলেন বব ওয়েইটন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১১২ বছর ৫৯ দিন। ১৯০৮ সালের ২৯ শে মার্চ আয়ারল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তারা ৭ ভাই বোন। তিনি ছিলেন সপ্তম জন। তাইওয়ান, জাপান এবং কানাডার বিভিন্ন জায়গায় তিনি কাজ করেছেন তার ৩ ছেলে ১০ নাতি-নাতনি এবং ২৫ জন পুতি, পুত্নী সহ বিশাল পরিবার।
জাপানের চিতেসু ওয়াতানাবে যিনি ১১২ বছর ২৬৬ দিন বেঁচে ছিলেন, তার মৃত্যুর পরে ববই হোন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। তবে ফ্রেদি ব্লোম দাবি করেছিলেন, তিনি ১১৬ বছরের জন্মদিন পালন করেছিলেন। তবে তার এই দাবীকে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড’ রেকর্ড স্বীকৃতি দেয়নি।
এত বছর বয়সেও সাদা চুলে ফোকলা হাসিতে দিব্যি বেঁচে ছিলেন বব। কি অসাধারণ প্রাণশক্তি নিয়ে, ফুরফুরে তাজা মন নিয়ে তার বেঁচে থাকা। কিন্তু আর বেশিদিন রইল না, জীবনের ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরেও আরও ১২ বছর থেকে গিয়েছিলেন বব। এতগুলো বছরে কতইনা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। একটা একটা করে কাটিয়ে উঠেছেন সুন্দর করে। এতগুলো বছর সুস্থ হয়ে বেঁচে বর্তে থাকার কারণ কি পরিবেশ নাকি অসম্ভব মানসিক জোর বা নিয়মমাফিক ভাবে জীবনযাত্রা পালন করা? এর কারণ কারুর জানা নেই। শেষ হয়ে গেল এক অধ্যায়ের।