বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও নুসরাত (Nusrat Jahan) এর সঙ্গে তার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। এদিন এমনটাই জানিয়ে দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। তিনি বলেছেন, ব্যবস্থার বাইরে থেকে কোন ভাবে ব্যবস্থাকে বদলানো সম্ভব নয়। এই কারণেই তিনি রাজনীতিতে যোগদান করছেন। বেশ কিছুদিন ধরে নুসরাতের সঙ্গে যশের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। তৃণমূল সাংসদ নুসরাত এর সঙ্গে তাকে একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তিনি নুসরাত এর বিপরীত পক্ষে যোগদান করলেন। তাহলেকি তাদের বন্ধুত্বে কোন রকম সমস্যা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যশ একথা বলেন।
বুধবার সন্ধ্যায় একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে যশ দাশগুপ্ত বললেন, “আমি আজ বিজেপিতে যোগদান করেছি সে-কথা নুসরাতকে জানায়নি। তাছাড়া আমাদের বন্ধুত্ব অভিনয়কে ঘিরে। রাজনীতিতে আসা মানুষের কাজ করার জন্য। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলের সাংসদ। যে যার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী রাজনীতি করে। এক বাড়িতে স্বামী স্ত্রী আলাদা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন। বন্ধুত্বের মধ্যে রাজনীতিকে না’ ঢোকানোই ভালো।”
জানিয়ে রাখি, বুধবার যশ এর সাথে বিজেপিতে যোগ দিলেন একাধিক অভিনেতা। এদের মধ্যে অন্যতম, এককালে বাম মনভাবাপন্ন বলে পরিচিত পাপিয়া অধিকারী। এছাড়া ছিলেন সৌমিলি বিশ্বাস এবং শর্মিলা ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee) এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় (Anirban Ganguly)। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি নিজের হাতে লেখা বই, ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ প্রসেনজিতের হাতে তুলে দেন অনির্বাণ গাঙ্গুলী।
উল্লেখ্য, বাংলা টেলিভিশনের মাধ্যমে নিজের অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছিলেন যশ দাশগুপ্ত। বোঝেনা সে বোঝেনা ধারাবাহিকে অরণ্য চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন। তারপর পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত এর পরিচালিত ছবি ‘ গ্যাংস্টার ‘ এর মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ। গতবছর তৃণমূল সাংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এবং নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) এর সঙ্গে তিনি অভিনয় করেছিলেন SOS কলকাতা ছবিতে। দিন কয়েক ধরে নুসরাত এর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সরগরম রয়েছে টলিপাড়া। কয়েকদিন আগে ডিকশনারি ছবির প্রিমিয়ারে একসঙ্গে এসেছিলেন যশ এবং নুসরাত। যদিও দুজনে তাদের এই সম্পর্ক অস্বীকার করেন।