যশ দাশগুপ্ত (yash Dasgupta)এখন অবশ্য অভিনয়ের থেকে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান (nusrat jahan)-এর প্রতি ও ভোটের প্রচারের প্রতি। 17 ই ফেব্রুয়ারি কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailas vijaybargiya) এবং মুকুল রায় (Mukul Ray)-এর উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন যশ। অপরদিকে যশকে সৌজন্যবোধ দেখিয়ে টুইট করে অভিনেতা দেব (Dev) যশকে রাজনীতির জগতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও যশের প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা সবসময় থাকবে। যশ দেবের টুইটের উত্তর দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও তাঁদের দুজনের লক্ষ্য মানুষের জন্য কাজ করা।
দেব বরাবর তাঁর সৌজন্যবোধের জন্য বিখ্যাত। কিছুদিন আগেও বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ (soumitra khan) তাঁকে হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra modi)-র সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দেব সৌমিত্রবাবুকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, হলদিয়ার সভায় উপস্থিত থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। অপরদিকে যশ বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁকে ট্রোল করা শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই তাঁর নারীসক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
চলতি বছরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল যশ, নুসরত ও তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)-কে। এই মুহূর্তে যশ ও নুসরত সম্পর্কে রয়েছেন। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে নুসরতের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। যশ বলেছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এর মধ্যেই আবার যশকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণের খসড়া জমা দিতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এখনও পর্যন্ত 2 কোটি দশ লক্ষ টাকার মালিক যশ। এছাড়াও তাঁর এলআইসি রয়েছে, পোস্ট অফিসে রয়েছে একটি অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়াও যশের দুটি গাড়ি রয়েছে, তার মধ্যে একটি হল 35 লক্ষ টাকার বিএমডব্লিউ এবং অপরটি বত্রিশ লক্ষ নব্বই হাজার টাকার টয়োটা।
ইতিমধ্যেই যশের জীবনে আবার ফিরে এসেছেন পুনম ঝা (Panama jha)। অপরদিকে যশেল জীবনে নুসরতের অবস্থান এখনও রয়েছে। পুনম নাকি যশের রাজনৈতিক কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। যশ চন্ডীতলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যেই যশ অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রচারের ব্যানার এবং পোস্টার নাকি ছিঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। কি জানি! যশ বোধ হয় ভাবছেন তৃণমূল কর্মীদের কাজের অভাব হয়েছে! ওদিকে এই মুহূর্তে ফেসবুক ছেয়ে গেছে যশকে নিয়ে তৈরী একটি মিমে, “চন্ডীতলা কোথায়, ও আদৌ জানে?” কিন্ত্তু, এটাও আবার প্রশ্ন উঠছে, যশকে কি চন্ডীতলার বাসিন্দারা আদৌ চেনেন?