রবিবার ছিল নুসরত জাহানের জন্য খুবই স্পেশ্যাল দিন। বর্তমান প্রেমিক যশ দাশগুপ্তের জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনেই প্রথমবার নিজের মুখে যশ জানিয়েছেন ঈশান তাঁরই সন্তান। এতদিন কেবলমাত্র সরকারি নথিতেই নুসরতের ছেলের পিতৃপরিচয়ের পাশে যশের নাম লেখা ছিল, কিন্তু নিজের মুখে ঈশানের নানান কথা বললেও ঈশানকে নিজের ছেলের কথা স্বীকার করেননি যশ। এদিন ক্যালক্যাটা টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেম, সন্তান এবং সংসার নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন ‘যশরত’ জুটি।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নুসরতের সিঁথির সিঁদুর দেখে অনেকের প্রশ্ন জেগেছিল নুসরত জাহান আর যশ দাশগুপ্ত কি বিয়েটা কি সত্যি সত্যি সেরে ফেলেছেন? সে ব্যাপারে বহুদিন চুপ ছিলেন যশরত। তবে পরিচিত মহল সূত্রে শোনা যাচ্ছিল গত বছরই চুপিসাড়ে বিয়ে সেরে ফেলেছেন যশ-নুসরত। সেই সাংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়, বিয়ে না করেই সন্তানের জন্ম দেওয়াটা আজও ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় সাদরে গ্রহণ করেনা তাহলে তাঁরা এই সাহসী পদক্ষেপ নিলেন কি করে? এই প্রশ্ন শুনে ঈশানের মা যা উত্তর দিয়েছেন ‘মানুষ কি নিশ্চিত যে এটা আমাদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের সন্তান?
তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মুখ খুলি না মানে এই নয় যে লোকে যা বলছে সেটাই ঠিক। তার মানে কি নুসরত আর যশ বিয়েটা সেরে ফেলেছেন? তারপরেই অভিনেত্রী বলেন দেখুন সবটা প্লাকার্ড ধরে বলবার প্রয়োজন আছে বলে আমি আর যশ বিশ্বাস করি না। এই ধোঁয়াশাটা বজায় থাকুন না হয়। যশ-নুসরত দুজনেই বিশ্বাস করেন, একসঙ্গে থাকাটই জরুরি। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে সঙ্গীর হাতটা শক্ত করে ধরা, তাঁকে ভরসা জোগানোর নামই ভালোবাসা। নুসরত আরো বললেন, একটা আইনি স্ট্যাম্প থাকলেই কোনও ভালোবাসার সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না, কেউ যদি বিয়ের মন্ডপে নেওয়া প্রতিজ্ঞাগুলোই বাস্তবে পূরণ না করতে পারে তবে সেই বিয়ে বৃথা।
গতকাল যশের জম্মদিনে একটা স্পেশ্যাল কেক আনানো হয়। এই দোতলা কেকের ওপরের পার্টে লেখা ছিল, হাজবেন্ড, একটি চেয়ারে দুজন বসে আর নীচের তলায় লেখা আছে ড্যাড আর বাবার হাত ধরে ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। আর কেকের শীর্ষে লেখা YD। এই সুন্দর কেকের ছবি নুসরত নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করলেন। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রথম যশকে নিজের স্বামী বলে স্বীকৃতি দিলেন।