টলিউডের পেজ থ্রিয়ের পাতায় এখন একটাই খবর। যশ আর নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে সরগরম নেট দুনিয়া। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে যশ নিজের ছেলের কথা জানিয়েছেন। সেই ইন্টারভিউ কিছু ঘন্টা পেরোতে না পেরোতে ঈশানের পিতৃপরিচয় সকলের সামনে আসে। কলকাতা পুরসভার নথি বলছে, ঈশানের পুরো নাম ঈশান জাহান দাশগুপ্ত। আর পিতার নাম দেওয়া হয়েছে দেবাশিস দাশগুপ্ত ওরফে যশ দাশগুপ্ত। সুতরাং নুসরতের সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই।
নুসরত জাহানের ছেলের পিতা যশ দাশগুপ্ত এই কথা প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে যশের ওপর চটেছে নেট পাড়ার একাংশ। অভিনেতার এমন অনেক ফ্যান ছিলেন যাঁরা শুধুমাত্র যশের বিপরীতে মধুমিতাকে পছন্দ করতেন। মধুমিতার পরিবর্তে আর কাউকে কোনোদিন মেনে নিতে পারেন না। এমনকি গত ডিসেম্বর মাস থেকে ‘যশরত’ এর সম্পর্ক নিয়ে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয় তখনও যশমিতার ফ্যানেরা প্রতিবাদ জানায়। এমনকি গত আগস্ট মাসে যশ মধুমিতার ‘ও মন রে’ তে জুটি হিসেবে কাজ করাতে খুশিও হয়েছিলেন। সেই মিউজিক ভিডিও শেয়ার হতেই যশমিতার অনুগানীরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু গত বুধবার রাত থেকে চিত্রটা যে পুরোপুরি পালটে গিয়েছে। যে মুহূর্তে সদ্যোজাত ঈশানের বাবা হিসেবে যশের নাম উঠে এসেছে তখন থেকে যশমিতার ফ্যানেরা যশকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামের এক ফ্যান পেজে যশকে ব্যান বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আবেদন জানায় তার অনুরাগীরা। এখানেই শেষ নয়। প্রিয় অভিনেতার ওপর রাগ আর অভিমানে অনুরাগীরা যশের একটি ছবিতে ‘ব্যানড’ বা ‘নিষিদ্ধ’ শব্দটি লিখে সেটি পোস্টও করেন ইনস্টাগ্রামের সেই ফ্যান পেজে। ছবির তলায় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বড় হরফে লেখা, ‘আমরা যশ দাশগুপ্তকে চাই না’। পাশাপাশি, অন্য অনুরাগীদেরও অভিনেতাকে সমর্থন না করার আবেদন জানানো হয়েছে সেই পোস্টে।