এবারে ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ব্রিগেড। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহার এবং জয়া দত্ত এদিন অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি দুষ্কৃতীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অনেকে অত্যন্ত গুরুতর ভাবে আহত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন এবং এই অভিযোগের অত্যন্ত নিন্দা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক লিখেছেন, “এই অত্যাচার আপনার অমানবিকতার প্রমাণ। যা খুশি করে নিন। ত্রিপুরায় তৃণমূল এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেনা।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই টুইট এর নিচে জখম সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তের ছবি পোস্ট করেছেন। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সুদীপ রাহার মাথা ফেটে গেছে। জয়া দত্তের গাল কেটে গেছে।গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সূত্রের খবর দিন ধর্মনগরে যাচ্ছিলেন দেবাংশু সুদীপ এবং জয়া এবং তৃণমূলের বেশকিছু নেতৃত্ব। সেই সময় রাস্তায় তাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তাদের উপরে লাঠি রড দিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।
তবে এর আগেও যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ হয়নি এরকমটা নয়। বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও আইপ্যাকের একটি দল যখন ত্রিপুরায় গিয়েছিল সেই সময় করোনাভাইরাস বিধির কারণ দেখিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তার কনভয় হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
ইতিমধ্যেই সেই হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ আরো অনেকেই ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ, ছাত্রনেত্রী জয়া দত্ত এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং আরো অনেকে বারংবার গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তাদের। কুনাল ঘোষ কখনো সাংবাদিক বৈঠক করে আবার কখনো টুইট করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি। আগামী ২৩ সালে মার্চ মাসে ত্রিপুরায় নির্বাচন। তার আগে বোঝাই যাচ্ছে কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না এই সংঘাতে।