গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Case) মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে। এতে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের গোটা প্যানেল বাতিল করা হয়। ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়।
তবে রাজ্য সরকার এই রায় মেনে নিতে পারেনি এবং সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয় এবং আজ সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করল।
হাইকোর্টের রায় বহাল, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী—
– নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা বাদ পড়বেন, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে।
– যারা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন, তারা চাইলে আগের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।
– নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি থাকায় তা বিশ্বাসযোগ্য নয়, তাই সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে।
ওএমআর শিট নিয়ে জটিলতা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
এই মামলায় অন্যতম প্রধান সমস্যা ছিল যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, মূল উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকৃত তথ্য জানা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শুনানির সময় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়েছিল, ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাদের কাছে থাকলেও, ওএমআর শিট সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট এমন দৃষ্টান্তমূলক রায় দিতে বাধ্য হয়েছে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রায় রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা** বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।














Florence Pugh Speaks Out on Zach Braff’s “Unfair” Treatment Over Their 21-Year Age Difference