কৌশিক পোল্ল্যে: বলিউডের এভারগ্রীন মল্লিকা ও রূপের দেবী মানা হয় অভিনেত্রী রেখাকে। শুধু সৌন্দর্যে নয়, নিজের অভিনয় দিয়ে তিনি মুগ্ধ করেন অগনিত দর্শকদের। ফিল্মসিটি মুম্বাইয়ে সহজেই প্রবেশিকা পাননি তিনি, এরজন্যও ছিল একটি কঠিন পরিশ্রম ও হার না মানা প্রচেষ্টা। হিন্দি ছবির পূর্বে তিনি সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করতেন। এরপর বড় হয়ে তামিল ও তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু সিনেমায় তিনি অভিনয়ের সুযোগ পান। এর পরপরই তিনি হিন্দি বলতে পারার সুবাদে মুম্বাইয়ে আসেন এবং বলিউড ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান।
তার নামের পাশে যেমন রয়েছে যশ ও খ্যাতি তেমনই পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বিতর্ক। প্রথমজীবনে তার জন্মদাতা পিতা তার মাকে ত্যাগ করে চলে যান। এরপর যৌবনে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে নানান গুঞ্জন তো রয়েছেই এবং যা আজও শুধু বিতর্কের গল্পকাহিনীর স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। অভিনেত্রীর সিনেমার কেরিয়ার ঘিরেও জড়িয়ে রয়েছে তুমুল বিতর্ক। কিছু সিনেমায় তার বেশ কিছু ঘনিষ্ঠদৃশ্য শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল, যা ভারতীয় রীতিমতো সিনেমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল বলা চলে। আজ আপনার জন্য এমনই তিনটি ছবির হদিশ রইল।
৩) উৎসব: ১৯৮৪তে মুক্তিপ্রাপ্ত গিরীশ কর্ণাদ পরিচালিত এই ছবিটির প্রযোজক ছিলেন শশী কাপুর। বিংশ শতকের প্রেক্ষাপটে একটি ব্রাহ্মনের সঙ্গে এক পতিতা নারীর প্রেমকাহিনী এতে সুন্দরভাবে বর্ণিত। সিনেমায় অভিনেতা শেখর সুমনের সঙ্গে রেখার বেশকিছু উষ্ণ ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য বর্তমান।
২) আস্থা- ইন দ্য প্রিসন অফ স্প্রিং: ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনেতা ওম পুরি ও রেখা স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেন। সিনেমায় রেখার চরিত্রের নাম ছিল ‘মানসী’ যে তার স্বামীর রোজগারের অর্থে সন্তুষ্ট নয়, যে কারনে বাড়তি রোজগারের জন্য সে নিয়েই বেশ্যাবৃত্তির কাজে নিযুক্ত হয়। এই ছবিতে রেখার উষ্ণ দৃশ্যগুলি তথাকথিত বোল্ড এবং এই ছবিটি গ্ল্যামারাস রেখার ইমেজ কিছুটা নামিয়ে দেয়।
১) কামসূত্র- এ টেল অফ লাভ: এই ছবিটি ভারতীয় সিনেমার বিবর্তন হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিকে হতবাক করে দেয়। ছবিটি তৎক্ষনাৎ সিনেমাহলে মুক্তির নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যানড করে দেওয়া হয়। পরিচালক মীরা নাঈয়ারের এই ছবিটি ‘কামসূত্র’ বইটিকে ভিত্তি করে নির্মিত। এই ছবিতে রেখা ‘রসদেবী’ নামক একটি চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি কামসূত্রের শিক্ষিকা ছিলেন। এই ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ঘনঘটা এতটাই বেশি ছিল যে সিনেমাটি ব্যানড করতে বাধ্য হয় ইন্ডিয়ান সেন্সর বোর্ড।