জম্মু ও কাশ্মীরে লিথিয়ামের ভান্ডারের পর এবারে পাওয়া গেল সোনার খনি। দেশে সর্ব মোট তিনটি জেলায় মজুদ রয়েছে এই সোনা। সম্প্রতি পাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, উড়িষ্যার তিনটি জেলায় সোনার ভান্ডার খুঁজে পাওয়া গেছে। উড়িষ্যার খনি মন্ত্রী প্রফুল্ল মালিক জানিয়েছেন, দেওগড়, কেমন ঝাড় এবং ময়ূরভঞ্জি জেলায় পাওয়া গিয়েছে এই সোনার খনি।
বিধানসভায় বিধায়ক সুধীর কুমার সামালের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী প্রফুল্ল মালিক জানিয়েছেন, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও ডিরেক্টরেট অফ মাইলস এন্ড জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তাদের সমীক্ষায় দেখেছে উড়িষ্যার তিনটি জেলায় এই মুহূর্তে সোনার ভান্ডার রয়েছে। লক্ষ্য নিয়ে যে ময়ূরভঞ্জীর চারটি স্থানে দেবগড়ের একটি স্থানে এবং কেওন ঝড়ের চারটি স্থানে সোনার খনি পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি প্রফুল্ল মালিক আরো জানিয়েছেন, ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সালে এই বিষয়ে সমীক্ষা করেছিল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু সেবার সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। গত দু’বছর ধরে জিএসআই এই তিনটি জেলায় টানা সমীক্ষা চালিয়ে এসেছে। তারপরেই খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে এসব জায়গায় বড় বড় সোনার ভান্ডার রয়েছে। তবে এই তিন জেলায় কত বড় সোনার খনি রয়েছে এটা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
সোনার আগে দেশে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়ামের ভান্ডার পাওয়া গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াশীতে পাওয়া গিয়েছে এই লিথিয়ামের ভান্ডার। Gsi এর বক্তব্য অনুসারে, এখানে ৫৯ লক্ষ টনের লিথিয়াম রয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ লিথিয়াম পাওয়ার পর ভারতকে আর এর জন্য অন্য দেশের উপরে নির্ভর করতে হবে না। লিথিয়াম একটি সাদা ধাতু যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাটারি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে এই ধাতুকে সাদা সোনা বলা হয় অনেক সময়।