কলাবউ আপাতদৃষ্টিতে গণেশের কিন্তু বউ নয়। কিন্তু আজকে মহাসপ্তমীর দিনে কলা গাছকে বউ সাজিয়ে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরিয়ে ঘোমটা দিয়ে, বউ হিসাবে পূজো করা হয় গণেশের সঙ্গে। মহা সপ্তমীর দিন এই নবপত্রিকা কে স্নান করার জন্য গণেশের পাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে। এতেই গণেশের তুমুল মাথা গরম। সে কখনোই সঙ্গিবিহীন হয়ে থাকতে চায় না। কিন্তু তার উপায় কি? উপায় একটাই। দিদিকে বললেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে গণেশ ভাবছে।
শুধু গণেশ নয় আমরা প্রত্যেকেই এই আশাতেই বুক বেঁধে রয়েছি যে মমতা ব্যানার্জি যে নতুন অ্যাপ ‘দিদিকে বল’ চালু করেছেন। তার মাধ্যমে প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ সরাসরি পৌঁছে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফোনের মাধ্যমে। আপনার যাবতীয় সমস্যার কথা আপনি ফোন করে বলতে পারেন।
এর আগে কখনো কোন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারে, এমনটা শোনা যায়নি। এটি একটি অভিনব চিন্তাভাবনা এবং সর্বসাধারণের জন্য এটি বেশ খুশির খবর।
এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা ব্যানার্জি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সমস্ত মানুষকে নিয়ে কতটা চিন্তিত। দূরাভাষ এতো তিনি যোগাযোগ রাখেনই প্রয়োজনে, তিনি পায়ে হেঁটে সেই জায়গায় পৌঁছে যান সমস্যার সমাধান করতে।
ঠাকুর গণেশের অভিযোগ তিনি মেটাতে পারবেন কিনা এটা সত্যিই একটা অবাস্তব ঘটনা। কিন্তু আপনার অভিযোগ যে উনি মেটাতে চেষ্টা করবেন একথা বলাই যেতে পারে।
তিনি নারী হয়ে কিভাবে অর্ধেক আকাশ হতে পেরেছেন তা আমরা তাঁর কর্মজীবন ঘাঁটলেই দেখতে পাই। তিনি নারী জাতির আদর্শ। তাই দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বলতেই হয় নারীরা মা দুর্গার মত দশভূজা হয়ে চাইলে সবকিছুই সামলাতে পারে।
Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী