সরকারের এই স্কিমে প্রতি মাসে মাত্র ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করুন, পাবেন ৪২ লক্ষ টাকা, জানুন কীভাবে
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে অনেকের মধ্যেই বেশ ভালো উন্মাদনা রয়েছে
কেন্দ্রীয় সরকারের পিপিএফ প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ ভালোমতো উন্মাদনা রয়েছে। অনেকেই এই প্রকল্পে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী এই অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ইতিমধ্যেই। এই অ্যাকাউন্ট খুলে আপনারা খুব কম টাকা বিনিয়োগ করে এই লাখ টাকা তহবিল তৈরি করতে পারবেন। আজ আমরা আপনাকে বলব কিভাবে আপনি পিপিএফ প্রকল্পে সম্পূর্ণ ৪২ লক্ষ টাকা পেতে পারেন। সব থেকে বড় কথা হল আপনি এই টাকা পাবেন সরকারি গ্যারান্টি সহ অর্থাৎ আপনার আয় হবে একেবারে নিরাপদ। বেতন ভোগী ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোত্তম বিকল্প হয়ে উঠেছে এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট।
ভালো আয় পেতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য এটি হলো সেরা বিকল্প। আপনি প্রতিবছর এর উপরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনি চক্রবৃদ্ধি সুদ পাবেন। এর অর্থ কিন্তু স্টক মার্কেটে ব্যয় হয় না অর্থাৎ আপনি আপনার বিনিয়োগের উপরে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ পাচ্ছেন। সুদের হার নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। যদি আপনি পিপিএফ প্রকল্পে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে সারা বছর আপনার বিনিয়োগ হবে ৬০০০০ টাকা। আপনি যদি ১৫ বছরের জন্য এই বিনিয়োগ চালিয়ে যান তাহলে মেয়াদ পূর্তিতে আপনার টাকা হবে ১৬,২৭,২৮৪।
আপনি যদি আরো পরবর্তী ১০ বছরের জন্য এই আমানতের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন তাহলে ২৫ বছর পরে আপনার তহবিলের পরিমাণ হবে ৪২ লক্ষ টাকা। এতে আপনার অবদান হবে ১৫ লক্ষ টাকা এবং আপনার সুদ হবে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। আপনি যদি ১৫ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ চালিয়ে যান এবং তারপরে বিনিয়োগ না করতে চান তাহলে সেই অপশন আপনার কাছে রয়েছে।
আপনি এই প্রকল্পে কর ছাড়ের সুবিধা পেয়ে যাবেন। যদি আপনি পুরনো নিয়মে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন তাহলে আয়কর ধারা ৮০সি অনুযায়ী আপনি কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। এই প্রকল্পে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা দিয়ে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস বা ব্যাংক থেকে যে কোন জায়গায় এই একাউন্ট আপনি খুলতে পারেন। ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে সরকার এই প্রকল্পে ৭.১ শতাংশ সুদের সুবিধা দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ১৫ বছর