বিনোদ পাল: বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে স্কুলশিক্ষা সচিব, অন্যান্য আধিকারিক এবং এসএসসি-র কর্তাদের সাথে এক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন-উচ্চ প্রাথমিক প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকা ঘিরে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে সেখান থেকে প্রধান অভিযোগগুলোকে চিহ্নিত করে দ্রুত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
যে কোনও অভিযোগেরই দ্রুত নিষ্পত্তি ও কোনও ভুল থাকলে, অবিলম্বে তা সংশোধন করায় জোর দেওয়া হচ্ছে।আর জমা পড়া অভিযোগগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা করে ফেলেছে এসএসসি। এসএসসি কর্তারা বলেন, বিরোধীরা সেগুলিকে যতটা ‘বিস্ময়কর’ ও ‘রহস্যজনক’ বলে প্রমান করার চেষ্টা করছেন, আসলে তা নয়।। তাঁরা আরো বলেন যে জমা পড়া অভিযোগ মূলত এ ধরনের-
১.পার্সোনালিটি টেস্টে ডাক পেলেও মেরিট লিস্টে নাম নেই,
২.কম নম্বরের প্রার্থীরা থাকলেও মেধাতালিকায় বেশি নম্বর পাওয়াদের নাম নেই,
৩.ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীদের খুব কম নম্বর দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি।আর এদিকে শিক্ষা মহল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আদালতে এই মামলাকে ঘিরে সব অভিযোগের উপযুক্ত জবাব তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন যে-
১.কমিশনের দ্বারা প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ব্যাপক সংখ্যক প্রার্থীর টেট ও অ্যাকাডেমিকে প্রাপ্ত নম্বর এবং ইন্টারভিউয়ের নম্বর একই। যার জন্য এক সন্দেহকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
২.আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের দ্বারা ৪ অক্টোবর যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে অনেক গরমিল রয়েছে।
কিন্ত বিকাশ ভবন এ সব অভিযোগকে বরখাস্ত করে দিয়েছে। সূত্রানুযায়ী খবর, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য ২৪,৭১৭ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছিলেন ২৮ হাজারের বেশি প্রার্থী।