গত কয়েক বছরে ভারতীয় অটোমোবাইল বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। গ্রাহকরা এখন ছোট হ্যাচব্যাকের পরিবর্তে কমপ্যাক্ট এসইউভি বেছে নিচ্ছেন, যার প্রধান কারণ হল আরাম ও খোলামেলা স্পেস। মারুতি সুজুকি সম্প্রতি এই বাজারে ব্রেজা ফেসলিফ্ট লঞ্চ করেছে, যা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ব্রেজার ফেসলিফ্টের ডিজাইন এবং ফিচারগুলি গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। এই গাড়ির বাজারে প্রবেশের মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১ লাখেরও বেশি ইউনিটের বুকিং হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ব্রেজার ১৪,৬৭৬ ইউনিট বিক্রি হয়, আর আগস্টে তা ১৯,১৯০ ইউনিটে পৌঁছায়। এটি দেখায় যে গত বছরের একই সময়ে বিক্রির তুলনায় প্রায় ৫,০০০ ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন ব্রেজা এত জনপ্রিয়?
ব্রেজার জনপ্রিয়তার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, মারুতি সুজুকি কমপ্যাক্ট এসইউভি সেগমেন্টে শুধুমাত্র ব্রেজা বিক্রি করছে, যা এর বাজারে একচেটিয়া অবস্থান তৈরি করেছে। এর উন্নত ডিজাইন, উচ্চ মাইলেজ, এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স গ্রাহকদের আকর্ষণ করছে। অনেকের মতে, ব্রেজা তাদের কম দামে একটি রেঞ্জ রোভার জাতীয় গাড়ির অনুভূতি দেয়। আর বিশেষত গাড়ির ব্যাক ডিজাইন সকলের মন জয় করে নিচ্ছে।
গাড়ির ইঞ্জিন ও অন্যান্য স্পেসিফিকেশন
ব্রেজাতে ব্যবহার করা হয় ১.৫-লিটার K15C ডুয়ালজেট পেট্রোল ইঞ্জিন ১০১ এইচপি শক্তি এবং ১৩৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। সিএনজি মোডে এই ইঞ্জিন ৮৮ এইচপি শক্তি এবং ১২১.৫ এনএম টর্ক প্রদান করে। গাড়িটির পেট্রোল মডেলে ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং ৬-স্পিড স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনের বিকল্প রয়েছে। গাড়িটি মাইলেজের দিক থেকেও অসাধারণ। পেট্রোল ইঞ্জিনে এর মাইলেজ ২০.১৫ কিমি/লিটার এবং সিএনজি সংস্করণে ২৫.৫১ কিমি/কেজি। এটি হালকা হাইব্রিড প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা উন্নত জ্বালানি দক্ষতার নিশ্চয়তা দেয়।
আবার ফিচারের দিক থেকে, ব্রেজায় ৯-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ওয়্যারলেস ফোন চার্জিং, ক্রুজ কন্ট্রোল, এবং স্বয়ংক্রিয় এসি রয়েছে। এছাড়াও, এতে নিরাপত্তার জন্য ছয়টি এয়ারব্যাগ, ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল, এবং ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা রয়েছে। মারুতি ব্রেজা ৫-সিটার কনফিগারেশনে উপলব্ধ এবং এর বুট স্পেস ৩২৮ লিটার। এর দাম ৮.১৯ লক্ষ টাকায় শুরু হয় এবং ১৪.০৪ লক্ষ টাকা গাড়ির টপ মডেলের দাম (এক্স-শোরুম)।