এশিয়া কাপের ময়দানে নামলেও ভারতীয় দলের জার্সিতে এবার কোনও স্পনসরের নাম চোখে পড়েনি। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ হওয়ার পর পুরনো স্পনসর ড্রিম ১১ চুক্তি ভেঙে সরে দাঁড়ায়। তবে প্রতিযোগিতা চলাকালীনই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) নতুন স্পনসর খুঁজে পেয়েছে। এ বার দলের জার্সিতে দেখা যাবে অ্যাপোলো টায়ার্স-এর নাম।
নতুন চুক্তির অঙ্কে বিস্ময়
বোর্ড সূত্রে খবর, অ্যাপোলো টায়ার্স ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলের জার্সি স্পনসর থাকবে। এই সময়কালের জন্য মোট ৬০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। প্রতি ম্যাচে বোর্ড পাবে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। তুলনায় আগের চুক্তি ছিল কিছুটা কম লাভজনক। ড্রিম ১১ প্রতি ম্যাচের জন্য ৪ কোটি টাকা করে দিত এবং তাদের সঙ্গে মোট ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। অর্থাৎ, নতুন স্পনসরের সঙ্গে বোর্ডের আয় বেড়ে গেল উল্লেখযোগ্য হারে। যদিও এখনও জানা যায়নি, ঠিক কবে থেকে অ্যাপোলো টায়ার্স-এর নাম জার্সিতে ছাপা হবে। এশিয়া কাপ চলাকালীন নতুন জার্সি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে সূর্যকুমার যাদবরা যেমন স্পনসরহীন জার্সি পরে খেলছেন, তেমনই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মহিলা দলের এক দিনের সিরিজেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে।
মহিলা দলের প্রশ্ন
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপ। সেখানে ভারতীয় মহিলা দলের জার্সিতে অ্যাপোলো টায়ার্স-এর নাম থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ক্রিকেট মহলের মতে, নতুন চুক্তি যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি, তাই পুরুষ ও মহিলা উভয় দলের জার্সিতে স্পনসরের নাম দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
চুক্তি ভাঙা ও নতুন সূচনা
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জার্সি স্পনসরশিপ বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরকারের কড়া পদক্ষেপের কারণে ড্রিম ১১ সরে দাঁড়ায়। এর ফলে প্রথমবার ভারতীয় দলকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে স্পনসরহীন জার্সি পরে নামতে হয়। তবে মাত্র ২১ দিনের মধ্যেই নতুন স্পনসরশিপ নিশ্চিত করল বোর্ড, যা অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও বেশি লাভজনক।
ক্রিকেট ও বাণিজ্যের সংযোগ
ক্রিকেট শুধু খেলার ময়দানেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল ব্যবসায়িক দুনিয়া। টেলিভিশন রাইটস থেকে শুরু করে জার্সি স্পনসর—সব ক্ষেত্রেই টাকার অঙ্ক কোটি কোটি। বোর্ডের নতুন এই চুক্তি প্রমাণ করছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের বাজার কতটা শক্তিশালী এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলি এই ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগাতে কতটা আগ্রহী।














