১. জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি: ২০১৫ এবং ২০২০ সালে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) পরের পর জয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাজ্য নির্বাচনে ৫০% এর বেশি ভোট প্রাপ্তির এটি দ্বিতীয় নজির গড়েছে। এর আগে ১৯৮০ এবং ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের গুজরাট জয়ে এমন ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কিছু রাজ্যে (গুজরাট সহ) তার সমস্ত আধিপত্য সত্ত্বেও এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তা এবং আপ-এর বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির কারণেই এই সাফল্য এসেছে।
২. রাজ্য ও কেন্দ্রের পৃথক ইস্যু ভিত্তিক ভোট: আপ-এর এই জয় জাতীয় ভোটাররা জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের মধ্যে কীভাবে পার্থক্য করে তার সঠিক উদাহরণ। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনগুলিতে দিল্লিতে বিজেপি ৫০% এর বেশি ভোট পেয়েছে এবং ২০১৫ ও ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে আপকে ভোট দিয়েছেন মানুষ। একই কারণেই মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলি হেরে গিয়েছিল বিজেপি। পরে লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যগুলিতে জনসমর্থন ফিরে পায় তারা।
আরও পড়ুন : প্রেমের মরশুমে অর্জুন-মধুমিতার রোমান্টিক ছবি, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
৩. দ্বিমুখী ভোটযুদ্ধ বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে: ভোট ভাগ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিজেপির। দ্বিমুখী ভোট ভাগের ফলে কংগ্রেসের ভোটব্যাংক আপের ঘরে গেছে। বহু আসনে কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যেখানে কংগ্রেস লড়াই দিয়েছে সেখানে বিজেপি ভালো ফল করেছে। অন্তত দুটি আসনে কংগ্রেসের ভোট কাটার কারণে বিজেপি জয়লাভ করেছে।
৪. আপ-কে অভিন্ন সমর্থন: একটি লোকসভা কেন্দ্র-ভিত্তিক ভোট বিশ্লেষণে দেখা যায় যে আপ দিল্লি জুড়ে কমপক্ষে ৫০% ভোট পেয়েছিল। ২০১৫ সালের নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতে ৭ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪ টিতে ভোট বেড়েছে। আপের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তির ব্যবধান সবচেয়ে কম হয়েছে এই নির্বাচনে। দিল্লির নির্বাচনে বিভিন্ন জাতীয় দল অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও সিংহভাগ মানুষ আপকে সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন : লালপরীর সাজে সেজে উঠলেন নুসরত জাহান, ভাইরাল সেই ছবি
৫. মেরুকরণ ব্যর্থ: বিজেপির মেরুকরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এই ভোটে। গত ২০১৫-র বিধানসভার থেকে ভোট শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও আসন সংখ্যা না বাড়ার কারণ, বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত হয়ে আপের ঝুলিতে গেছে। অন্যদিকে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় ভোট কমেছে বিজেপির। ধর্মীয় মেরুকরণ বাদ দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে আপকে বেছে নিয়েছে সাধারণ মানুষ।