পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতীয় এক ব্যক্তিকে দেওয়া হল করোনা ভাইরাসের টিকা
করোনার দাপটে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার, গত বছর ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বরং করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বজুড়ে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য। গত সোমবার প্রথম করোনার টিকা দেওয়া হল জেনিফার হলার নামক বছর ৪৩ এর এক ব্যক্তির শরীরে। তিনি এক প্রযুক্তি সংস্থায় ম্যানেজারের পদে কাজ করেন।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন মানুষ এবং পশু উভয়ই। সংক্রামিত এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে একজনের থেকে অন্যজনের দেহে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে পশুদের শরীর থেকে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে। সেই সম্ভাবনাকেও একেবারে অস্বীকার করা যায় না। মূলত সার্স কভ এবং মার্স কভের ক্ষেত্রে এমন সংক্রমণ দেখা যায়।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বাঁচাবে ৭০ লক্ষ মানুষকে, কমবে পরিবেশ দূষণ
তবে বেশিরভাগ আক্রান্ত বিশেষ চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন পর্যাপ্ত বিশ্রামে এবং সতর্কতা অবলম্বনে। তবে বয়স্ক মানুষ এবং যাঁদের হৃদপিণ্ডে সমস্যা রয়েছে বা ডায়াবেটিস রয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, তাঁরা খুব দ্রুত এই ভাইরাস বেশি আক্রমণ করে।
সিয়াটলের কাইসার পারমানেন্টে ওয়াশিংটন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলকভাবে এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ রোগের প্রতিষেধক প্রয়োগ করেছেন, এখন অপেক্ষা এই প্রতিষেধক এর ফলে ওই ব্যক্তিকে করোনা থেকে সুস্থ করা যায় কি না, কী প্রভাব পড়ে তার শরীরে, বিজ্ঞানীদের নজর এখন সেদিকে। টিকা নেওয়ার পর জেনিফার হলারের বলেছেন জনস্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি খুশি। সোমবার তাকে ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেক সংস্থা মডার্না ইনকর্পোরেটেড এর তৈরী এমআরএনএ-১২৭৩ টিকা দেওয়া হয়।