কৌশিক পোল্ল্যে: একাধারে নামজাদা পুলিশ চরিত্রের নির্মাতা তিনি। তার হাত ধরেই বলিউডের মেইনস্ট্রিম বানিজ্যিক ছবিতে পরিচিতি পেয়েছে ‘সিংঘম’ এবং ‘সিম্বা’র মতো চরিত্র। পুলিশি চরিত্রে তাবড়তোড় অ্যাকশন ফিল্ম মানেই রোহিত শেট্টির ছবি। তার সেই তালিকায় আরও একটি ছবি যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। ছবির নাম ‘সূর্যবংশী’। স্টারকাস্টে অজয় দেবগন সহ ক্যামিও চরিত্রে স্ক্রিনশেয়ার করবেন অক্ষয় কুমার ও রনবীর সিং, থাকছেন ক্যাটরিনা কাইফও।
পুলিশের চরিত্রগুলির সিনেমায় নানারকম এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে রোহিত জানান, বাস্তবে সিনেমার সঙ্গে তিনি পুলিশি চরিত্রগুলিকে ভীষন কানেক্ট করতে পারেন। পুলিশরা দিবারাত্রি যে পরিস্থিতির মধ্যে কার্য উদ্ধার করেন প্রতিনিয়ত, তা কোনো সিনেমার চাইতে কোনো অংশে কম নয়। আর বর্তমানে দিনে দেশে পুলিশকর্মীদের ভূমিকা কতখানি গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে সে সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই।
এবার এই পুলিশকর্মীদের থাকা খাওয়ার সুবিধার্থে দৃষ্টিপাত করলেন পরিচালক। মুম্বাইয়ের বহু পুলিশকর্মী কাজের সূত্রে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছেন। বাড়ি ফেরার সৌভাগ্যটুকু সকলের মিলছে না, যে কারনে চরম অসুবিধার সম্মুখীন এই সকল পুলিশকর্মী। তাদের স্বার্থেই এক নয়া উদ্যোগে সামিল তিনি।
মুম্বাইয়ের বুকে অবস্থিত আটটি হোটেলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে একটি সিদ্ধান্তে আসেন তিনি। জানা গিয়েছে উক্ত হোটেলগুলিতে পুলিশকর্মীরা দুপুরের ভোজ এবং নৈশভোজটুকু বিনামূল্যে পাবেন এবং বিশ্রামের জন্য তারা সেখানে সময়ও কাটাতে পারবেন এছাড়া প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও স্নানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং এর জন্য কোনো অর্থবহন করতে হবে না পুলিশকর্মীদের। এই সকল খরচের ভার নিজকাঁধে নিলেন রোহিত শেট্টি।
পরিচালকের এই মহান উদ্যোগে ভীষন খুশি মুম্বাই পুলিশ কর্তৃপক্ষ। একটি অফিশিয়াল ট্যুইট করে তারা রোহিতের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। লকডাউনের শুরুর দিকেই ফিল্মসিটি মুম্বাইয়ের দরিদ্র শ্রমিকদের জন্য তৈরি ত্রান তহবিলে ৫১ লাখ টাকার অনুদান আগেই দিয়েছিলেন তিনি। এবার বাস্তবের পুলিশকর্মীদের জন্য যথাসাধ্য সাহায্যের বন্দোবস্ত করলেন রোহিত শেট্টি।