Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

বিসিসিআই’কে তুলোধনা করলেন মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী, জেনে নিন হঠাৎ এমন কেন বললেন?

Updated :  Wednesday, August 7, 2019 8:31 AM

ইদানিং ভারতীয় ক্রিকেটে স্বার্থ সংঘাত যেন এক নয়া ট্রেন্ড। এবার সেই ট্রেন্ডের শিকার ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়। আর এই সংঘাতের কারণেই বেজায় চটলেন ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। ‘ঈশ্বর ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করো’, এমনই টুইট করে বিসিসিআই’কে তুলোধনা করলেন মহারাজ। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রশাসনিক প্রধানের (সভাপতি) পদ সামলানোর পাশাপাশি তিনি আইপিএলে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর পদে নিযুক্ত হওয়ায় কয়েক মাস আগে স্বার্থ সংঘাত মূলক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

আর এবার জাতীয় দলে তাঁরই প্রাক্তন সেনানী রাহুল দ্রাবিড়কে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করায় সেই হতাশা আর গোপন রাখতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক। আর এই নিয়ে বুধবার টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অধিনায়ক। সৌরভ গাঙ্গুলী এদিন টুইটারে লিখেছেন, ‘’স্বার্থের সংঘাত। ভারতীয় ক্রিকেটের এখন নতুন ফ্যাশন। শিরোনামে থাকার নতুন পন্থা। ঈশ্বর ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করো। স্বার্থ-সংঘাত ইস্যুতে এবার বোর্ডের এথিক্স অফিসারের নোটিশ গেল দ্রাবিড়ের কাছে।’’ ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর পদের পাশাপাশি ইন্ডিয়া সিমেন্ট গ্রুপের সহ-সভাপতি পদেও আসীন রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়।

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিসিআই অম্বুডসম্যান ডিকে জৈন স্বার্থ-সংঘাতের অভিযোগে নোটিশ পাঠান রাহুল দ্রাবিড়কে। আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য দ্রাবিড়কে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর পদ সামলানোর কারণে স্বার্থ-সংঘাতের অভিযোগে নোটিশ পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। যদিও সচিন তেন্ডুলকর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন তিনি মেন্টর নন।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে ওই সাম্মানিক পদ প্রদান করেছে। এই পদের জন্য তাঁর সঙ্গে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির কোনরকম আর্থিক চুক্তি নেই। লক্ষ্মণ জানিয়েছিলেন অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য হিসেবে যদি তাঁর দায়িত্বপালনে স্বার্থ-সংঘাতের মতো অভিযোগ ওঠে তবে অবশ্যই তিনি তাঁর পদ ছাড়তে রাজি। পরবর্তীকালে এই এ স্বার্থ সংঘাত মূলক অভিযোগের ভিত্তিতে সচিন, সৌরভ এবং লক্ষ্মণ তিনজনেই ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান।