কৌশিক পোল্ল্যে: তার মৃত্যুতে বলিউডের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল, একথা বললে ভুল কিছু বলা হবে না। রোমান্টিক চিন্টু জি’র একের পর এক সুপারহিট সিনেমায় মন গলেছিল অগনিত সিনেমাপ্রেমী মানুষদের। আশি ও নব্বইয়ের দশকে তার স্টারডম ছিল তুঙ্গে। সেই ঋষি কাপুরই ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করে চলে গেলেন মাত্র ৬৭ বছর বয়সে, আর পিছনে ফেলে গেলেন অজস্র অমলিন স্মৃতি যা ইতিহাস হয়ে থেকে যাবে ভারতীয় সিনেমায়।
ঋষির সঙ্গে নিতুর বিয়ে নিয়ে অকপট অভিনেতা জানান, কেরিয়ারের মাঝগগনে থেকেও ভালোবাসার পরিনতি দিয়ে সাতাশ বছর বয়সেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মনে করেছিলেন এটিই বিয়ের উপযুক্ত সময়। সেই স্মৃতিই আরও একবার ফিরে দেখলেন নিতু। স্বামীর মৃত্যুর পর সোশ্যালে নানান পোস্টে তিনি তুলে ধরছেন বিভিন্ন ফিরে দেখা ঘটনা।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের ২২শে জানুয়ারি অভিনেত্রী নিতু সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঋষি। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে চল্লিশটা বছর। কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ হওয়া এরপর রিদ্দিমা ও রণবীরের মা হওয়া এ সবকিছুই বিশেষ মুহূর্ত ছিল নিতুর কাছে। একসঙ্গে থাকার সফরটা হয়তো আরও খানিকটা চলতে পারত, কিন্তু হঠাৎই ৩০শে এপ্রিল সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ঋষি। পুত্র রণবীর চোখের জলেই তার মুখাগ্নি করেন এবং গতকাল তার অস্থি বিসর্জনের কার্যক্রমটিও সম্পন্ন করেছেন।
এদিনও নিতুকে সমানভাবে সাহস জুগিয়েছেন হবু পুত্রবধূ আলিয়া। ঋষির মৃত্যুর পর চর্চিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋষি-নিতু জুটির বিয়ের সময়কার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল। ১৯৮০ এর সেই বিশেষ দিনে চার হাত এক হওয়ার নানান ক্যামেরাবন্দি স্মৃতি ভেসে উঠল সোশ্যালের পর্দায়, যা দেখে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা, এই দম্পতির রোমান্টিকতায়। বর্তমানে নিতুর বক্তব্য, “আমাদের গল্প এখানেই শেষ হল।”