কৌশিক পোল্ল্যে: ছোট থেকেই অর্থ উপার্জনের প্রবল ইচ্ছে ছিল এই পাঞ্জাবি মেয়েটির মধ্যে, যেহেতু পরিবারের নানান অসুবিধা ও নিত্যদিনের অশান্তি দেখে সে বড় হয়েছে। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে নার্স হবেন, সেই মতো পড়াশোনাও চলছিল, হঠাৎই জীবন বাঁক নিল এক অন্য পথে, তারপরই বদলে গেল সবকিছু। সেই পাঞ্জাবি মেয়েটি পাড়ি দিল আমেরিকায়। করনজিৎ কৌর (বোহরা) থেকে তিনি হলে উঠলেন নীলদুনিয়ার পরী সানি লিওনি।
সংসারের টানাপোড়েনের মাঝেই বন্ধুর দৌলতে পেয়ে যান একটি এজেন্সির খোঁজ, তারাই নগ্ন ফটোশ্যুট থেকে শুরু করে নীল চিত্র( ব্লু ফিল্ম) সবটাই তৈরি করতেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথমে ফটোশ্যুটের কাজ জুটিয়ে ফেলেন তিনি, বয়স ছিল মাত্র উনিশ বছর। প্রথম কাজেই উপার্জন হয়েছিল এক লক্ষ ডলার যার পুরোটাই তিনি তুলে দেন পরিবারের হাতে। তার ভাই সব সত্যিটা জানলেও বেশিদিন চেপে রাখতে পারেননি। এরপরই একের পর এক প্রজেক্টে তিনি হয়ে ওঠেন পর্নজগতের এক চেনা মুখ।
পর্নতারকা হিসেবে যথেষ্ট কাজ করার পর স্বামীর সঙ্গে তিনি ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর এদেশের ফিল্মসিটিতে ‘রাগিনি এম এম এস ২’ এর মাধ্যমে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন বেবিডল। এরপর সিনেমার যাত্রা আরও এগোতে শুরু করে, জ্যাকপট, কুছ কুছ লোচা হ্যায় ইত্যাদি তার অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। আইটেম ড্যান্সার হিসেবেও এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। শাহরুখ খানের ছবি ‘রেইস’ এ ‘ল্যায়লা’ গানে দুর্দান্ত নেচে দর্শকদের মন জিতে নেন সানি।
স্বামী ড্যানিয়েল সহ তিন সন্তানের সঙ্গে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশেই পালা করে থাকেন সানি। সিনেমার কাজ থেকে সরে এলেও জনপ্রিয় টিভি শো ‘স্পিলিট্সভিলায়’ তাকে বেশ কয়েকটি সিজনে সঞ্চালনা করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও অনাথ শিশুদের মানোন্নয়নে ও তাদের নানারকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি, নিয়েছেন অগনিত শিশুর দায়িত্বভার। পর্নতারকা হয়ে কেরিয়ারের শুরুটা করলেও বর্তমানে তিনি সুখী ও দাম্পত্য জীবনে ফিরে এসেছেন।