রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যের কিছু আইপিএস অফিসারকে দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে দমিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। রাজ্যের বিজেপি নেতা মুকুল রায় এক সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করে এই কথা বলেন। বড়বাজারের একটি প্রতারণার মামলায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর মুকুল রায় এক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সংসদীয় রাজনীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দয়ায় রয়েছেন।
সেই সময় মমতা যেভাবে বিধানসভায় ভাঙচুর করেছিলেন, তাতে তার আর সংসদীয় রাজনীতিতে থাকার কথা নয়।বর্তমানে মমতার সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।তিনি বলেন, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে এই ষড়যন্ত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।এখন তিনি বিজেপি নেতাদের কীভাবে জব্দ করা যায় সেই পরিকল্পনা করছেন।আমাকে কী করে ডিস্টার্ব করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন।মুকুল রায় আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দয়া করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য।তৃণমূল নেত্রী যেভাবে বিধানসভায় ভাঙচুর করেছিলেন, সেই কারণে তার সংসদীয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকতো না।একমাত্র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য সেটা সম্ভব হয়েছে।
রাজনীতিতে এখন প্রায় সময় বহিরাগত প্রসঙ্গ চলে আসে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে মুকুলের ঠিকানা নিয়ে কটাক্ষ করেন।মুকুলের কথায়, যেহেতু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কাজ করি,দল তাই যেখানে পাঠাবে সেখানেই আমাকে যেতে হবে।তাতে আমার বাসস্থান দিল্লি, পাঞ্জাব যেখানেই হোক।মুকুল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষে থাকেন।উনি চেন্নাই গিয়েছেন, উনি কি বহিরাগত? উনি ধর্মীয় বিভাজন করেছেন।
এটা বিভাজনের রাজনীতি।কিন্তু তিনি যাই করুন পশ্চিমবাংলায় আর ক্ষমতায় থাকছেন না। মুকুল বলেন, রাজ্য সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই চলবে।তিনি জানান, আগামী দিনে তাকে ও বিজেপি নেতৃত্বকে তৃণমূলের সরকার হেনস্থা করার চেষ্টা করবে।