সুরিয়া প্রকাশ নামে চেন্নাইয়ের একজন আইনজীবী ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে সমর্থন করার জন্য একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। ক্যাস্তো ক্লাব নামে একটি অনলাইন ট্রেডিং অ্যাপে অর্থ হারানোর পরে আত্মহত্যা করা চেন্নাইয়ের শিক্ষার্থী নিতিশ কুমারের মৃত্যুর পরে এই মামলা করা হয়েছে। নিতিশের মৃত্যুর পরে রাজনৈতিক দলসমূহ সহ অন্যান্য অনেক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন জুয়ার অ্যাপগুলিতে নিষেধাজ্ঞার দাবি করেছেন। এই পিটিশনটি চেন্নাই হাইকোর্টে করা হয়েছে। আবেদনে সুরিয়া প্রকাশ অভিযোগ করেছেন, দেশে জুয়া খেলার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশ জুড়ে প্রতিদিন অনলাইন জুয়া বাড়ছে। “যুবকরা বিনোদনের জন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করছে এবং কয়েক দিন পরে এটিতে আসক্ত হচ্ছে” তিনি আবেদনে বলেছেন। “তারা এই অ্যাপগুলিতে বিনিয়োগের জন্য উচ্চ সুদে ঋণ নিচ্ছে এবং অর্থ হারানোর পরে হতাশার কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে,” তিনি আরও যোগ করেন।
তরুণদের ব্রেনওয়াশ করার জন্য অ্যাপ গুলির বিজ্ঞাপনে অভিনয় করার জন্য বিরাট কোহলি ও তামান্না ভাটিয়ার মতো হাই প্রোফাইল জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের নিয়োগের জন্য জুয়া অ্যাপটির মালিকদেরও অভিযুক্ত করেছেন। তিনি এই ধরণের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলির মালিকদের বিরুদ্ধে এবং কোহলি এবং তামান্নার বিরুদ্ধে, যারা এটির বিজ্ঞাপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তার পিটিশনের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি চেয়েছেন এই অ্যাপগুলিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক। যখন তিনি বিচারক হেমলথা, এম এম সুরেশকে তাঁর আবেদনটিকে জরুরি মামলা হিসাবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন, তখন বেঞ্চ বলে যে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) শুনানি হবে। সম্প্রতি, অ্যাপার্টমেন্টে জুয়ায় জড়িত থাকার কারণে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মামলার শুনানি চলাকালীন, চেন্নাই হাইকোর্টের মাদুরাই শাখা জিজ্ঞাসা করেছিল “অনলাইনে জুয়ার অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করা উচিত নয় কেন?”
সম্প্রতি, “ক্যাস্তো ক্লাব” নামে একটি অনলাইন খেলায় অর্থ হারানোর পরে চেন্নাইয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। নীতীশ কুমার নামে ঐ যুবকটি তার প্রিয়জনদের তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানাতে আত্মহত্যা করার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখেছে। আমিনজিকরায় একটি ট্যাটু স্টুডিওতে মারা যায় ঐ ২০ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রটি। যুবকটি তার বাবা-মা এবং এক ভাইয়ের সাথে টি পি ছাথ্রামে বসবাস করতো, ছেলেটি চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারী কলেজের বিসিএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্র এবং চেন্নাইয়ের একটি ট্যাটু স্টুডিওতে পার্ট-টাইম কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো। নীতীশ সুইসাইড নোটে লিখেছে, “এই সিদ্ধান্তের জন্য আমিই একমাত্র দায়বদ্ধ। আমি “কাস্তো ক্লাব” নামে একটি অনলাইন গেমে আমার কষ্টার্জিত সঞ্চয় হারিয়েছি। এমনকি আমি দোকান থেকে ২০,০০০ টাকা নিয়েছিলাম এবং সেটিও হারিয়েছি। আমি ঞহতাশ হয়ে পড়েছিলাম এবং এখন ভুল হলেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে আর অন্য কোনও অপশন নেই। আপনার অনুমতি ব্যতীত আপনার অর্থ হারিয়ে আমি দুঃখিত সেকার আনা।”