কঙ্গনা রানাউত যিনি কিনা নিজেই সর্বপ্রথম বলিউডের পর্দা ফাঁস করেছিলেন। এমনকি সুশান্ত কেসে কঙ্গনাই প্রথম সরব হন। এরপর একের পর এক কালো দিক প্রকাশ্যে আনতেই শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, কঙ্গনাকে মুম্বাই না ফেরার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে কঙ্গনা সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ফিরবেন কারোর ক্ষমতা থাকলে তাঁকে আঁটকে দেখাতে হবে। এরপর হয়তো শিবসেনা আর চুপ করে বসে থাকতে পারেনি, কঙ্গনাকে রীতিমত ‘হারামখোর’ বলে আক্রমণ করেন সঞ্জয় রাউত। অবশ্য মণিকর্ণিকা চুপ করে থাকেননি, এই শব্দের তীব্র প্রতিবাদ তিনি জানিয়েছিলেন।
কঙ্গনা নিজে ট্যুইট করে জানান, “আমাকে আপনি হারমখোর মেয়ে বলেছেন। আপনি তো মন্ত্রী, জেনেই থাকবেন, এদেশে প্রতিদিন, প্রতিঘণ্টায় কত মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, শোষণ করা হচ্ছে। কখনও মেয়েদের কেটে অ্যাসিড দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে স্বামীর হাতেই নির্যাতিত হন মহিলারা। আর এর জন্য দায়ী হল এই মানসিকতা। আপনি নিজের যে রূপ দেশের সামনে ধরছেন, সেই মানসিকতাই এর জন্য দায়ী। এই দেশের মেয়েরা আপনাকে ক্ষমা করবেন না। যখন আমির খান, নাসিরুদ্দিনজী বলেছিলেন এই দেশে থাকতে ভয় লাগে, তখন তো ওনাদের কেউ হারামখোর বলেনি। এর আগে আমিই মুম্বই পুলিসের প্রশংসা করেছি। কিন্তু যখন সেই মুম্বই পুলিসের সামনেই পালঘরের মতো ঘটে, সুশান্তের মৃত্যুর পর FIR নিতেও তাঁরা অস্বীকার করে, তার আমি তীব্র নিন্দা করি। আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সঞ্জয়জী আপনার কথারও আমি তীব্র নিন্দা করছি। আপনি মহারাষ্ট্র নন। আমি ৯ সেপ্টেম্বর আসছি। আপনারা বলেছেন আমায় মারবেন, ঠিক আছে ৯ তারিখ দেখা হবে।”
View this post on Instagram
ঠিক এরপরেই কঙ্গনাকে দেওয়া হল ওয়াই ক্যাটেগরির সুরক্ষা এবং এই সিদ্ধান্তের পরেই অমিত শাহকে ট্যুইটে ধন্যবাদও জানান অভিনেত্রী। এখন প্রশ্ন হল এই ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা কী? কারা এই নিরাপত্তা পেতে পারেন? সাধারনত, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে কোনও ভিআইপির উপর কোনও হামলার আশঙ্কা থাকলে তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেড প্লাস, জেড, ওয়াই বা এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়৷