২০২০ তে দাড়িয়ে এ এক বড় উপাখ্যান। কঙ্গনা রানাউত যিনি এখন সবচেয়ে বিতর্কিত অভিনেত্রী এবং মহিলা, যিনি সরব হয়েছেন বলিউডে মাদকচক্র নিয়ে, সরব হয়েছেন স্বজনপোষণ নিয়ে, আবার তুলে ধরেছেন নিজের অতীতের অন্ধকার দিক। জীবনের একটা সময় তিনি মাদক নিতেন স্বীকার করেছেন, এছাড়াও তাঁর কৈশোর যেই ভয়ংকর দিনগুলির সঙ্গে সংঘাত করেছে তার কাহিনিও তুলে ধরেছেন কঙ্গনা। বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা।
মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই যৌনতার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে যৌন ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা।
এরপরে আদিত্য পাল্টা FIR দায়ের করেছিলেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে।
কিন্তু কঙ্গনা ঠিক কী বলেছিলেন? তাঁর অভিযোগগুলি ঠিক কী ছিল? চলুন আরও একবার দেখে নিই :
প্রথম অভিযোগ – এক রাতে আদিত্য নাকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর।
দ্বিতীয় অভিযোগ- নাবালিকা অবস্থায় নিয়মিত ধর্ষণ করতেন আদিত্য।
তৃতীয় অভিযোগ – জোর করে তাঁকে সম্পর্কে রেখে দিনের পর দিন ধরে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। চলতো ব্ল্যাকমেল।
চতুর্থ অভিযোগ – এমন অনেক রাত কেটেছে রাতে খাবারটুকু জোটেনি। জোড় করে মাদক সেবন করতে হত। এমনকি নেশা করিয়ে গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে।
পঞ্চম অভিযোগ – “এমন জোরে ধাক্কা মারল মেঝেতে পড়ে গেলাম। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরতে লাগল।”
উল্লেখ্য, আদিত্য পাঞ্চোলির স্ত্রী এই ব্যপারে কঙ্গনার বিরধিতা করেন। তিনি জানান,“এ সব মিথ্যে। সাড়ে চার বছর ধরে আমার স্বামীকে ডেট করেছে ও। তার পরেও তাকে মেয়ে হিসেবে কী ভাবে ভাবতে পারি আমি। আমার মেয়ের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করছে। মানেটা কী?” এখানেই শেষ করেননি জারিনা, তিনি আরও বলেন, “আমারই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে আবার আমার কাছেই সাহায্যের জন্য আসবে? এমনটা হয় কখনও? কথা বলবেই যখন বুঝে শুনে বলুক।” অন্যদিকে আদিত্য বলেন, “কঙ্গনা পাগল হয়ে গিয়েছে। ও কী বলছে নিজেই জানে না। ওর কথায় সবাই খারাপ। শুধু ও একাই ভাল।”