২০১৯ ছিল স্বপ্নের সময়। গলায় সুর নিয়ে পৌঁছে যান মুম্বাইয়ে। রাতারাতি ভাইরাল হওয়া এক প্ল্যাটফর্ম নিবাসী মহিলার ভাগ্যের চাকা এক লহমায় ঘুরে যায়। এক ঝটকায় উঠে যান আকাশে। কিন্তু তাতে কি? সেই তাঁকে মাটিতেই ফিরতে হল। কিছু মানুষের কথায় এটাই উঠে এসেছে যে তাঁর অহংকার বেড়ে গেছে। তাঁর দাম্ভিক আচরণই তাঁকে নিচে টেনে আনে।
তবে রাণুর মুম্বাই যাওয়া এই প্রথম নয়। এর আগেও স্বামীর সঙ্গে মুম্বাই গিয়েছিলেন তিনি। অভিনেতা ফিরোজ খানের বাড়িতে তিনি ও তাঁর স্বামী কাজ করতেন। তারপর আবার নদিয়াতে ফিরে আসার পরপর স্বামী মারা যান। মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে গেলে, রাণু একা হয়ে যান। সেইসময় মাসি-মেসো একা হয়ে যাওয়া রানুকে নিজেদের বাড়িটি দিয়ে গিয়েছিলেন। মাথার উপর ছাঁদ থাকলেও খাবার ছিল না রাণুর। তারজন্যেই রানাঘাট স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসে একা একা গান গাইতেন আর ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এই রাণু। তখনই অতীন্দ্র নামে এক যুবক তাঁর নিজের ফোনে রানুর কণ্ঠে লতার গান ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি ভিডিও করেন। অতীন্দ্র ওই প্ল্যাটফর্মেই মাঝে মধ্যে আড্ডা দিতে যেতেন। পরবর্তীতে এই গান ভাইরাল হয়ে যায়। রাণু আবার ফেরে মুম্বাইতে।
২০১৯ এর পুজো প্যন্ডেলে রাণুর গান বাজে, কিন্তু রাণুর কিছু অস্বাভাবিক ব্যবহার তাঁকে আবার স্টেশনমুখী করে তোলে। ভক্তদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করেছেন রাণু, সেই ভিডিও ও ছবি বহুবার মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। কখনো চিত্কার করে উঠেছিলেন, ‘ডোন্ট চাট’ আবার কখনো অভব্য আচরণও করেছিলেন রাণু। এমনকি পরবর্তীতে তিনি দুঃখ প্রকাশও করেননি। এরপরেই রাণু স্পটলাইট থেকে একদম ছিটকে যান। আবারও আশ্রয় হয় সেই বাড়ি। সেই ফিরলেন স্টেশনেই।