প্রত্যেক বারের মতো এবারেও আইপিএল থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সানরাইজার্স দের সঙ্গে প্রথম এলিমিনেটর এর হারের পরেই প্রশ্ন উঠেছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ অত্যন্ত ভালো দল হলেও, এই ম্যাচে বিরাট দের পারফরম্যান্স একেবারেই ভাল ছিলনা। আর সেই হারের পর এই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে একটি বিস্ফোরক পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স এর প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ” আট বছর অনেক লম্বা সময়। ধোনি, রোহিত, কোহলি র কথা আমরা সবাই বলি কিন্তু সবাই তো আর এক নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি তিনবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। রোহিতের ঝুলিতে আছে চারটি কাপ। এই কারণেই ওরা দীর্ঘ সময় ধরে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারছে। কিন্তু, যদি রোহিত আইপিএল ট্রফি না যে তাদের পারতো, তাহলে নিশ্চিত ভাবে ওকে বাদ দেওয়া হতো। সকলের জন্য নিয়ম সমান হওয়া উচিত। অশ্বিনকে আবার ফিরিয়ে আনা হোক। দুবার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ পেয়েও কিছু করতে পারেনি। তাই ওকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এলিমিনেটর ম্যাচে দলের অসফল হওয়ার সমস্ত দায়িত্ব ভাগ নিতে হবে বিরাট কোহলি কে। গম্ভীর এর বক্তব্য,” হারের দায় নিতে হবে নেতাকেই, কারণ তুমি এই দলের ক্যাপ্টেন। যদি তুমি দলের জয়ের ক্রেডিট নিতে পারো, তাহলে দলের হার এর দায়ভার তোমার উপরই বর্তায়। ” এবছর আইপিএলে প্রথম দিকে ভালো খেললেও শেষের দিকে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিরাট বাহিনী। দিল্লির কাছে হারের পরে কোনো মতে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল বিরাট রা। তবে, সেই সময় আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, ভালো মানের ক্রিকেট খেলার জন্যই নাকি শেষ চারে জায়গা পেয়েছে।
কিন্তু সেই মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি গম্ভীর। তিনি বলেছেন, আরসিবির শেষ চারে খেলা কোন যোগ্যতাই ছিল না। শেষের দিকের ম্যাচ গুলি দেখেই বোঝা যায় তাদের ক্রিকেটের কোয়ালিটি। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে আরসিবির বৈতরণী পার করেছিলেন নভদিপ। তবে এলিমিনেটর প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শেষের দিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। সেই টিমের বিরুদ্ধেও বিরাটদের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তারা ছিটকে গেল আইপিএলের দৌড় থেকে। বিরাট নিজে অনেক পরিণত। জাতীয় দল হোক অথবা ক্লাব, যেখানেই খেলেছে সেই দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে শেষ কথা বলে সাফল্য। “