অনেকদিন আড়াল থাকার পরে আজ সোমবার নিজের কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। আজ নানা বিষয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল বর্ষীয়ান নেতাকে। মিহিরবাবুর বক্তব্য, বিড়ালের গলায় কে ঘণ্টা বাঁধবে? এটা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের দ্বিধা ছিল, সেটাই বেধে দিলেন তিনি।
এইদিন উদয়ন গুহ দলের পঞ্চায়েতদের উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাতে প্রমাণ হয় যে তৃণমূলের নীচতলার নেতারা প্রায় সবাই ই দুর্নীতিগ্রস্থ। এটিই প্রমাণ হয়েছে তার কথায়। এমনই মনে করেন মিহির গোস্বামী। আর এতেই আপত্তি তার। তার মতে, শুধু নিচু তলার নেতা-কর্মী নন, দলের উপরের নেতাদের দুর্নীতির তো কোনো হিসেব নেই। উদয়ন এইদিন দাবি করেন যে ছয় মাসের জন্য মানুষের খাবার মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে মিহিরবাবুর দাবি, দোলা সেন ও কিছুদিন আগে একই কথা বলেছিলেন। তবে দোলা বলেন যে ৭৫% দলকে দিতে এবং ২৫% নিজে রাখতে। মিহিরের মতে, এই কথাতেই অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে দলের দুর্নীতি। ফলে এই কথাটি অপমানে লাগে তার।
তবে মিহিরবাবুর সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে। তবে যা আগেও ছিল তা এখনো চলছে বলে দাবি তার। তবে তিনি জানান যে সবটাই কলকাতাকেন্দ্র করে। তার মতে বহু নেতা কলকাতা থেকে এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর দলের সব কর্তব্য ত্যাগ করেন মিহিরবাবু। তবে তিনি যে আর তৃণমূলে ফিরবেন না তা এক প্রকার ঠিকই করে দিয়েছেন মিহিরবাবু। সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে তার বাড়িতে। তবে তা সম্পর্কে কিছুই জানাননি তিনি।