Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

২১ বিধানসভার আগে শুভেন্দুর শক্তি বৃদ্ধি, বিদ্রোহী তালিকায় নাম লেখালেন আরো অনেকে

Updated :  Wednesday, November 11, 2020 12:23 PM

বিহার নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। এবারে, বিজেপির মূল লক্ষ্য বাংলা দখল করা। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অনেকেই বর্তমানে শাসক দলের উপর বীতশ্রদ্ধ।এর মধ্যে অনেকে ডাল ছেড়ে অন্য দলে যেতেও প্রস্তুত রয়েছেন। তালিকায় শুভেন্দুর পাশাপাশি রয়েছেন আরো অনেকেই। তবে বর্তমানে সবথেকে বেশি জল ঘোলা হচ্ছে শুভেন্দুর দলবদল নিয়ে। এদিন নন্দীগ্রাম অভিযানের প্রধান শুভেন্দু অধিকারী সেখানকার একটি সভায় গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। সিঙ্গুর তৃণমূলের হাত থেকে আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। সেখানেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রধান মুখ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

শুক্রবার নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার কথাতেই স্পষ্ট, তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত সম্পর্ক বর্তমানে শেষ। তৃণমূল এবং শুভেন্দু অধিকারী আলাদা আলাদাভাবে সভা করে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করেছেন। আর সেই নিয়ে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুভেন্দু কে বার্তা পাঠিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই সভাতে নাম না করেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।

তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ১৩ বছর পরে মনে পড়ল নন্দীগ্রাম। ভোটের আগে এলে ভোটের পরেও আসতে হবে। তবে এবারে শুভেন্দুর গলায় ছিল ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’ স্লোগান। এই স্লোগানের পরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পারদ আরো চড়তে শুরু করেছে। তবে এই বিদ্রোহী শিবিরে শুধুমাত্র শুভেন্দু একা নন, এই তালিকায় রয়েছেন আরো ৪ বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে তারা এই সভাতে অংশগ্রহণ করেছেন। এই তালিকায় ছিলেন সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি সহ এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তারা একসাথে তৃণমূল ত্যাগ করলে, একটা বড় শক্তি তৃণমূলের হাত থেকে সরে যাবে বলেও মতামত বিশেষজ্ঞ মহলের।

এছাড়াও এই তালিকা তে আছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত, আরামবাগের কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা প্রমূখ। সভার পরে শুভেন্দু একটি জনসংযোগ যাত্রা করেছিলেন। এখানে বহু নেতা-নেত্রীকে দেখা গিয়েছিল। তবে তৃণমূল জেলা নেতৃত্তের তরফে কাউকেই দেখা যায়নি। এদিনের সভায় ৪৫ জন জেলা পরিষদের সদস্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০২১ বিধানসভার আগে তৃণমূল নেতৃত্বে বড় সড় ভাঙন ধরতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তারা বলেছে, অন্য দল ভাঙ্গানোর ফল হাতেনাতে টের পাচ্ছে তৃণমূল। শুভেন্দুর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও সেরকম কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে, রাজনৈতিক মহলের জল্পনা বাড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, রাজনীতি করতে গিয়ে কোথায় হোঁচট খাচ্ছি, কোথায় আমার পথ গর্তে ভরা, কোথায় স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব হচ্ছে সব বলবো, কিন্তু আজ নয় পরে। সব কথা হবে রাজনৈতিক মঞ্চে। শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে শুভেন্দু কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ত্যাগ করবেন। তবে তার ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে সজাগ রয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারাও।