“শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছাড়েন তবে কালীঘাটে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আলু পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।” এমনভাবেই পালটা জবাব দিতে দেখা গেল শুভেন্দু অনুগামীদের। বৃহস্পতিবার নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তীর ছুঁড়তে দেখা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন,”মমতা ব্যানার্জি না থাকলে তো পুরসভার কাছে এসে আলু পেঁয়াজ বিক্রি করতিস।” তবে এইখানেই থামেননি তৃণমূল নেতা, দলনেত্রীর নাম উল্লেখ করে এবং শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে তিনি আরও বলেন,”কটা পেট্রোল পাম্প করেছিস ? দলনেত্রীর নামে ?”। তার এই বক্তব্যে হতবাক হয়ে যায় জনসভার প্রতিটি মানুষ। সাথে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অনুগামীদের। এইদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই বক্তব্য ফিরিয়ে দেন শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতারা।
একটি পোস্টের মাধ্যমে তার অনুগামীরা বলেন,” ১৯৭০ সালে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শিশির অধিকারী। তখন কল্যাণ ব্যানার্জি কোথায়? হামাগুড়ি দিতেন বোধ হয়। একটা কথা আপনার জানা প্রয়োজন, দল ছাড়লে শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকারী পরিবারকে নয়, আপনাকেই কালীঘাটে বসে আলু পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।”
শুভেন্দুকে এই প্রথম নয়, গত এক সপ্তাহে বারংবার আক্রমণ করেছেন নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি হুঙ্কারের সাথে বলেছিলেন,”বেইমানি করলে শেষ করে দেব।” তারপর অপর দিন তিনি বলেন,”যারা তৃণমূলে থাকতে চান না , তারা অন্যদলে যেতে পারেন। আজকে হয়তো আপনি অনেক বড়ো হয়েছেন, কিন্তু যার ছায়ায় বড়ো হলেন, সেটা তো দেখুন।”
তবে এইবার আর চুপ থাকলেন না শুভেন্দু অনুগামীরা। এর থেকে বাংলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের স্থান টা অনেকটা স্পষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ইতিহাস অনেক পুরনো, তা এইবার পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ নেতারা।