বহিরাগত ইস্যু কথার কথা নয়, তা এইবার বুঝিয়ে দিতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার অর্থাৎ কাল এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন দলের সাংসদ সুখেন্দুসেখর রায়। বৃহস্পতিবার এই একই বিষয়ে বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। তিনি আজ সোজাভাবে বলেছেন, বহিরাগত এলে যদি লালচোখ দেখিয়ে বিজেপি নিজেদের দিবাস্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করে, তা হলে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব না।
সম্প্রতি ভিন্ন রাজ্যের ৫ জন নেতার ওপর রাজ্যের পাঁচ জোনের দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। দলের ৫টি সাংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। এর পর থেকেই বহিরাগত এর থিয়োরি নিয়ে এসেছে শাসক শিবির। নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহের ওপর নির্ভর করে চলে রাজ্য বিজেপি। বহুকাল আগে থেকেই তাদের বহিরাগতদের ওপর নির্ভরশীল দল বলে চিহ্নিত করতে শুরু করেছিল বিজেপি। সেই প্রচারকে আবার তুলতে দেখা গেল জোড়াফুল শিবিরকে। এই প্রচারকে ধীরে তুঙ্গে তুলছে শাসকদল। বৃহস্পতিবার তথা আজ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন,”বাংলা সব মানুষকে স্বাগত জানাতে জানে। কিন্তু যদি কোনও বহিরাগত এসে লাল চোখ দেখিয়ে তার অদ্ভুত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে ভাবে তবে বাংলা তা মেনে নেবেনা।” বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকেও এইদিন তীর ছুঁড়তে দেখা যায় মন্ত্রীকে। তার বক্তব্য,”বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে যাদের জ্ঞান নেই। তাদের বাংলার কিছুই তো তারা চেনেন না।”
এইদিন চন্দ্রিমা আরও বলেন,”তারা যদি এখানে শিখতে আসেন। তবে অসুবিধা নেই। যদি তীর্থ স্থানের উদ্দেশ্যে আসেন। তবে অসুবিধা নেই। কিন্তু নিজের কোনও এক দিবাস্বপ্নকে যদি বাস্তব করতে আসেন, তা হলে মেনে নেওয়া যাবেনা। বাংলার মানুষ মানবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে দিবাস্বপ্ন বলতে তিনি বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপনকেই বুঝিয়েছেন। বুধবার বহিরাগতদের বিষয়ে তৃণমূলের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”বাইরে থেকে এসে অনেকে ভয় দেখাচ্ছেন বাংলার মানুষকে। বহিরাগতদের হুমকিতে ভয় পাবেন না ।” এর থেকে অনেকেই মনে করেছেন যে তৃণমূল বিজেপিদের বহিরাগতের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে এই প্রচার।